Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Sonajhuri forest

রাতে সোনাঝুরি জঙ্গল থেকে মাটি চুরির নালিশ

ট্রাক্টর বোঝাই করে সেই মাটি চড়া দামে পৌঁছে যাচ্ছে স্থানীয় একাধিক ইটভাটাতে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জঙ্গলের জমির চরিত্রই বদলে যাবে।

রাতের অন্ধকারে সোনাঝুরিতে এ ভাবেই মাটি কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

রাতের অন্ধকারে সোনাঝুরিতে এ ভাবেই মাটি কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

বাসুদেব ঘোষ 
বোলপুর শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২২ ০৯:১৯
Share: Save:

রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টর লাগিয়ে শান্তিনিকেতনের বিখ্যাত সোনাঝুরির জঙ্গল থেকে মাটি চুরির অভিযোগ উঠেছে মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে এই মাটি চুরি হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

জেলার বিভিন্ন জায়গায় নানা সময়ে মাটি চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ বার সোনাঝুরি এলাকাতেও সেই অভিযোগ উঠল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সারি সারি ট্রাক্টর লাগিয়ে রাতের অন্ধকারে সোনাঝুরি জঙ্গল চত্বরের শালবনের পিছনের দিকের অংশে বেশ কয়েক দিন ধরে মাটি তুলে নেওয়া হচ্ছে। ট্রাক্টর বোঝাই করে সেই মাটি চড়া দামে পৌঁছে যাচ্ছে স্থানীয় একাধিক ইটভাটাতে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জঙ্গলের জমির চরিত্রই বদলে যাবে। স্থানীয় বাসিন্দা রাম সোরেন, সন্তোষ হেমব্রম, সারথি হেমব্রমরা বলেন, “কিছুদিন ধরেই আমরা লক্ষ্য করছি, রাতের অন্ধকারে মেশিন নামিয়ে এই এলাকা থেকে মাটি চুরি করে নিয়ে চলে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এই মাটি চুরি বন্ধ না হলে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। আমরা চাই জঙ্গল থেকে এ ভাবে মাটি চুরি বন্ধ হোক এবং প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকুক। এই বিষয়ে অবিলম্বে নজর দিক প্রশাসন।’’

বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। তবে অভিযোগ যখন উঠেছে, তখন খতিয়ে দেখে গুরুত্ব সহকারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মহকুমাশাসক (বোলপুর) অয়ন নাথ বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এটা বন্ধ করতে ভূমি দফতরকে ব্যবস্থা নিতে বলব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sonajhuri forest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE