ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, জঙ্গলমহলে বিরোধীদের পার্টি অফিসে হামলার একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে শাসকদলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ফের বাঁকুড়ার রানিবাঁধে বিজেপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে কার্যালয়ে ঢোকেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির তরফে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য চিত্ত মাহাতো-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। যদিও অভিযুক্তদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হামলার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন চিত্তবাবু।
বিজেপির রানিবাঁধ কেন্দ্রের প্রার্থী ক্ষুদিরাম টুডু জানান, শনিবার বিকেলে রানিবাঁধে বনদফতরের রেঞ্জ অফিসের উল্টো দিকের একটি বাড়িতে পার্টি অফিস উদ্বোধন করা হয়। সেখানে দলের ব্লক সভাপতি গোষ্ঠবিহারী মাঝি-সহ নেতা কর্মীদের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা খানেক বৈঠক করে বাড়ি ফিরে যান ক্ষুদিরামবাবু। তাঁর অভিযোগ, রাত ৮টা নাগাদ চিত্তবাবু দলবল নিয়ে হঠাৎ সেই পার্টি অফিসে চড়াও হন। পার্টি অফিস খোলার জন্য জবাবদিহি চেয়ে গোষ্ঠবিহারী মাঝি-সহ উপস্থিত নেতা কর্মীদের মারধর করা হয়। সবাইকে বাইরে বের করে দিয়ে পার্টি অফিসের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয় হামলাকারীরা। ক্ষুদিরামবাবুর দাবি, “এলাকায় আমাদের দলের জনসমর্থন বাড়ছে। প্রচারে গিয়ে মানুষের সাড়া পাচ্ছি। এতে ভয় পেয়ে শাসকদলের নেতা কর্মীরা আমাদের কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন। পার্টি অফিসে হামলা করছেন।”
অবশ্য অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উ়ড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য তথা রানিবাঁধ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি চিত্ত মাহাতো। তাঁর দাবি, ওই এলাকায় রাস্তার পাশে তৃণমূল প্রার্থী জ্যোৎস্না মান্ডির প্রচারের ফেস্টুন এবং পাতাকা টাঙানো ছিল। সেগুলি সরিয়ে দেন বিজেপি কর্মীরা। স্থানীয় কর্মীরা পার্টি অফিসে গিয়ে গোষ্ঠবাবুর কাছে কেন এমন করা হল তা জানতে চেয়েছিলেন বলে চিত্তবাবু দাবি করেন। মারধর বা তালা ঝোলানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন বিজেপি প্রার্থী। তবে ঘটনাস্থলে তিনি যে উপস্থিত ছিলেন তা স্বীকার করে নিয়ে চিত্তবাবু বলেন, “গণ্ডগোল হতে পারে ভেবে আমি গিয়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি চলে যেতে বলি।’’ এই প্রসঙ্গে অবশ্য জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য তথা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তীর টিপ্পনী, “এলাকায় বিজেপির প্রচারে ভিড় হয় না। তাই মিথ্যা অভিযোগ করে প্রচারের আলোয় আসতে চাইছেন ওঁরা।’’
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ দিন সকালে তালা খোলারও বন্দোবস্ত করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy