প্রতীকী ছবি।
সর্দি-জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভিন্ রাজ্য থেকে বাঁকুড়া জেলায় ফেরা তিন ব্যক্তিকে ভর্তি করা হল হাসপাতালের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ। বুধবার রাতে ওই তিন জনকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে আনা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ‘আইসোলেশন’-এ পাঠানো হয়। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভর্তি হওয়া দু’জন পাত্রসায়রের, এক জন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির।
বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বৃহস্পতিবার বলেন, “করোনা-আক্রান্ত সন্দেহে তিন জনকে বাঁকুড়া মেডিক্যালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের লালা-রসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।”
বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান জানান, ‘আইসোলেশন’-এ ভর্তি থাকা তিন জনেরই শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তাঁদের পর্যবেক্ষণ
করা হচ্ছে।
পাত্রসায়র ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রিয়দর্শী যশ জানান, ব্লকের দু’জনের মধ্যে এক জন কেরল ও অন্য জন অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়েছিলেন কাজের জন্য। কিছু দিন আগেই তাঁরা বাড়ি ফেরেন। প্রথমে তাঁদের শরীরে কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। তাই তাঁদের ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে পরে জ্বর ও গলা ব্যথার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশিকায় করোনা-আক্রান্তদের উপসর্গের সঙ্গে মিল পাওয়া গিয়েছিল বলে ঝুঁকি না নিয়ে ওই দু’জনকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে
পাঠানো হয়।”
বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলায় ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ রয়েছেন তিন জন, সরকারি ‘কোয়রান্টিন সেন্টার’-এ কেউ নেই। ‘হোম কোয়রান্টিন’ বা বাড়িতে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ৯,১২০ জনকে। শ্যামলবাবু বলেন, “জেলার সার্বিক পরিস্থিতির উপরে আমাদের নজর রয়েছে। করোনা রুখতে পুলিশ, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সামঞ্জস্য রেখে কাজ করে চলেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy