Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
coronavirus

সারাদিনে টিকা নিলেন মাত্র এক জন

মুরারইবাসী অনেকেই জানান, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। অনেকেই মাস্ক ছাড়া রাস্তায় ঘুরছেন। টিকা নিতেও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।

মুরারই হাসপাতালে অপেক্ষায় স্বাস্থ্যকর্মীরা। টিকা নেওয়ার কেউ নেই। মঙ্গলবার।

মুরারই হাসপাতালে অপেক্ষায় স্বাস্থ্যকর্মীরা। টিকা নেওয়ার কেউ নেই। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মুরারই শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২১ ০৫:৩৯
Share: Save:

করোনা টিকার জন্য রাজ্য ও জেলা জুড়ে হাসপাতালের সামনে দেখা যাচ্ছে লম্বা লাইন। টিকা না পেয়ে ক্ষোভ দেখানোর ছবিও দেখা যায় অনেক জায়গায়। কিন্তু মঙ্গলবার তার উল্টো ছবি দেখা গেল মুরারই হাসপাতালে। টিকা নিতেই সেখানে এলেন না কেউ।

এ দিন সকাল থেকেই দেখা টিকা দেওয়ার ঘরের সামনে কোনও ভিড় নেই। স্বাস্থ্য কর্মীরা টিকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকলেও টিকা নেওয়ার কেউ নেই। দুপুর বারোটার পরে এক জন টিকা নিতে এলেও তার পরে আর কোনও বাসিন্দা টিকা নিতে আসেননি। এই চিত্র শুধু এ দিনের নয়, লম্বা লাইন দিয়ে টিকা নিতে কাউকেই দেখা যায়নি বলে জানান স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। ফলে টিকা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা, মুরারই ১ ব্লকের সব পঞ্চায়েতের সদস্য, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গ্রামে গ্রামে মাইকে প্রচার করে এলাকার মানুষজনকে টিকা নেওয়ার জন্য সচেতন করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার প্রথম টিকা নিয়েছেন ১৪ হাজার ৪৯৮জন। কিন্তু ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখ থেকে দ্বিতীয় টিকা নিয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ৫৩০ জন। করোনার প্রথম টিকা নেওয়ার পরে চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর দ্বিতীয় টিকা নিতে হয়। কিন্তু কী কারণে প্রথম টিকা নেওয়ার পরে কেন কেউ দ্বিতীয় টিকা নিচ্ছেন না? তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।

মুরারই ১ স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিফ আহমেদ বলেন, ‘‘বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষজন টিকা নিতে চাইছেন না। টিকা নিলে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অনেকটাই রক্ষা করবে। এই বিষয়টি নিয়ে গ্রামের মানুষজন এখনও পর্যন্ত সচেতন নন। যে সমস্ত মানুষজন প্রথম টিকা নিয়েছেন তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার জন্য প্রচার ও সচেতন করছেন।’’

মুরারইবাসী অনেকেই জানান, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। অনেকেই মাস্ক ছাড়া রাস্তায় ঘুরছেন। টিকা নিতেও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ না করলে এলাকার মানুষজন বিপদে পড়বেন। রাজগ্রামের বাসিন্দা পাপ্পা খান বলেন, ‘‘এলাকায় অনেকেই করোনা আক্রান্ত। প্রশাসনের নিয়ম মেনে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সকলে টিকা নিলে শারীরিক ভাবে অনেকটাই রক্ষা পাবেন। কিন্তু অনেকেই টিকা নিতে চাইছেন না। এলাকার সমস্ত ক্লাবের সদস্যরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে স্বাস্থ্য দফতরের সমস্যা অনেকটাই কমবে। এবং মানুষজন টিকা নেবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

COVID-19 coronavirus COVID19 Vaccine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE