মৃত পিঙ্কি দোলুই (ইনসেটে)। শোকার্ত পরিজন। নিজস্ব চিত্র
কুয়ো থেকে উদ্ধার হল মা ও দু’বছরের ছেলের মৃতদেহ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মহম্মদবাজার থানার ভূতুড়া পঞ্চায়েতের শুকনা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম পিঙ্কি দোলুই (২২)। শিশুটির নাম উৎপল দোলুই (২)। এই ঘটনায় পিঙ্কির স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যদিও পিঙ্কির বাপের বাড়ির পক্ষ এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগেই বিয়ে হয়েছিল পিঙ্কির। তাঁর বাপের বাড়ি সাঁইথিয়া ব্লকের শ্রীনিধীপুর পঞ্চায়েতের সিউর গ্রামে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই পিঙ্কি ও তাঁর শিশুপুত্র খোঁজ মিল ছিল না। সারা রাত খোঁজাখুঁজি করেও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে মহম্মদবাজার থানায় নিখোঁজের অভিযোগও দায়ের করা হয়। তার পরে একটি চিঠির খোঁজ মেলে। যেখানে লেখা ছিল, ‘আমি পিঙ্কি, কুয়োতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলাম।’ এর পরে বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকা কুয়োতেই দু’টি মৃতদেহের খোঁজ মেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল ঘটনাস্থলে আসে। কুয়ো থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কোমরে গামছা দিয়ে শিশুপুত্রকে নিজের সঙ্গে বেঁধে রেখেছিলেন পিঙ্কি।
মৃতার বাবা নিবারণ দলুই বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ই ফোনে খবর পাই মেয়ে ও নাতিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার পরে আমরা গাড়ি ভাড়া করে রাতেই এখানে আসি। সারা রাত খোঁজাখুঁজির পরেও ওদের পাওয়া যায়নি। পরে চিঠিতে কুয়োয় ঝাঁপ দেওয়ার কথা জানতে পারি। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল। কী কারণে এমন ঘটল তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।’’ প্রতিবেশী কাদের আলিও বলেন, ‘‘ওদের বাড়িতে কোনও অশান্তির কথা শুনিনি। ফলে, কেন এমন ঘটল তা আমাদের কাছেও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানায়, কী কারণে এমন ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আপাতত মৃতার স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy