বধূ খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবিতে বাঘমুণ্ডি-ঝালদা রাস্তা অবরোধ করলেন স্থানীয় স্বনির্ভর দলের কিছু মহিলা। সোমবার বাঘমুণ্ডি থানার ডাভা মোড়ে অবরোধটি হয়। পরে বাঘমুণ্ডি এবং ঝালদা থানার পুলিশ, ডিএসপি (সদর) কল্যাণ সিংহ রায়, আইসি (ঝালদা) ত্রিগুণা রায়-সহ পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা এলাকায় গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনার শুরু করেন। দুপুর আড়াইটা নাগাদ অবরোধ ওঠে। বধূর গ্রামে গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত গত ১৩ অগস্ট। ওই দিন সন্ধ্যায় ডাভা গ্রামের একটি কুয়ো থেকে পদ্মাবতী মাহাতো (২৮) নামে এক বধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার আগের দিন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন পদ্মাবতী। কিন্তু তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন থানায় কোনও মিসিং ডায়েরি করেনি। দেহ উদ্ধারের পরে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ১৬ অগস্ট বধূর বাপের বাড়ির লোকজন তাঁর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দেওর ও জা-র বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। রবিবার পুলিশ পদ্মাবতীর স্বামী সুদর্শন মাহাতোকে গ্রেফতার করে। এ দিন পদ্মাবতীর শ্বশুর গঙ্গাধর মাহাতো, শাশুড়ি কেশবতী মাহাতো ও জা প্রতিমা মাহাতোকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অপর অভিযুক্ত, বধূর দেওর ফাল্গুনী মাহাতো পলাতক। তাঁর খোঁজ করা হচ্ছে বলে
জানিয়েছে পুলিশ।
অবরোধকারীদের পক্ষ থেকে এলাকার মহিলা স্বনির্ভর দলের সঙ্ঘনেত্রী পার্বতী মাহাতো বলেন, ‘‘এলাকায় মদের ঠেক বা বিভিন্ন সামাজিত অন্যায়ের প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন করি। পদ্মাবতী বিভিন্ন আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে সামিল হতেন। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরেও গ্রেফতার করা নিয়ে গড়িমসি করছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা পথে নেমেছি।’’
এ দিকে অবরোধের জেরে বাঘমুণ্ডি থেকে ঝালদা যাওয়ার রাস্তায় যান চলাচল থমকে যায়। জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, ‘‘বধূর দেহ মিলের কিছু দিন পরে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মূল অভিযুক্তকে রবিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দিন আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত অভিযোগের সাপেক্ষে তদন্ত করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy