Advertisement
E-Paper

ডেঙ্গি ফের বেড়ে ছুঁল ৭০

নিম্নচাপের জেরে ক’দিনের টানা বৃষ্টি দেখে ডেঙ্গির প্রকোপ কমার আশা করেছিলেন স্বাস্থ্য-কর্তারা। কিন্তু তাঁদের ভুল ভাঙিয়ে আবার বাঁকুড়ায় এক লাফে বেড়ে গেল ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা। শনিবার বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে জেলায় ৩৬ জন রোগীর রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু ধরা পড়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৬ ০০:৫৬

নিম্নচাপের জেরে ক’দিনের টানা বৃষ্টি দেখে ডেঙ্গির প্রকোপ কমার আশা করেছিলেন স্বাস্থ্য-কর্তারা। কিন্তু তাঁদের ভুল ভাঙিয়ে আবার বাঁকুড়ায় এক লাফে বেড়ে গেল ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা। শনিবার বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে জেলায় ৩৬ জন রোগীর রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু ধরা পড়েছে।

শুক্রবার পর্যন্ত এই জেলায় সরকারি ভাবে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৪। সংখ্যাটা এক লাফে বেড়ে দাঁড়াল ৭০! সেই সঙ্গে এক ধাক্কায় গত বছরের রেকর্ডও ছাপিয়ে গেল। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৮। এ বছর সংখ্যাটা আরও বেড়ে গেল। তবে স্বস্তি একটাই, গত তিন বছরে এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু ঘটেনি। সেই রেকর্ড ধরে রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে।

বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের রক্তের নমুনা বাঁকুড়া মেডিক্যালে পাঠানো হচ্ছে ডেঙ্গি নির্ণায়ক পরীক্ষার জন্য। শনিবার সেই সব রক্ত পরীক্ষা করেই নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ধরা পড়েছে। সুপার বলেন, “আমরা জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে রিপোর্ট দিয়েছি। হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন অনেকেই। তাঁদের সবারই ডেঙ্গি নির্ণায়ক পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, এই মুহূর্তে ছ’জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছেন।

বস্তুত, মশাবাহিত রোগের প্রকোপ এই জেলায় ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ডেঙ্গিতে কারও মৃত্যু না হলেও জেলায় ইতিমধ্যেই ১২ জন রোগী মারা গিয়েছেন ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ায়। জ্বর হলে গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি-বাড়ি ঘুরে ম্যালেরিয়া নির্ণয় করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাই। তবে ডেঙ্গি নির্ণায়ক পরীক্ষা জেলায় সরকারি ভাবে কেবলমাত্র বাঁকুড়া মেডিক্যালেই হয়। স্বাস্থ্য দফতর জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের রক্তের নমুনা নিয়ে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রসূনকুমার দাস বলেন, “জ্বরে আক্রান্ত যে কোনও রোগীরই ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গি পরীক্ষা করতে হবে বলে জেলার সবক’টি ব্লক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রেকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি। সাধারণ মানুষের মধ্যেও আমরা সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছি। রোগ যত দ্রুত ধরা পড়বে, চিকিৎসাও তত দ্রুত শুরু হবে।” তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকর্মী বা প্রশাসনকে সে ভাবে এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে দেখা যাচ্ছে যাচ্ছে না।

Dengue
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy