ডিভিসি-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
বীরভূমে ডেউচা-পাচামি কয়লাখনি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই লোবায় জয়দেব-খাগরা কয়লাখনি নিয়ে তৎপরতা। বুধবার বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়ের দফতরে এ নিয়ে বৈঠকে বসেন কয়লা উত্তোলনের বরাত পাওয়া ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। জেলাশাসক ছাড়াও ওই বৈঠকে ছিলেন শ্রীনিকেতন রুরাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এসআরডিএ)-র চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল এবং পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। জেলাশাসক জানিয়েছেন, জয়দেব-খাগরা কয়লাখনি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক শেষে জেলাশাসক বলেন, ‘‘খাগরা-জয়দেবের বিষয়ে আলোচনা করতে ডিভিসি-র প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। তাঁদের কী সুবিধা-অসুবিধা তা নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। কী ভাবে আমরা এগিয়ে যেতে পারব তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সব বিষয়ই চূড়ান্ত হবে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে। এই বৈঠকে প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা হয়নি। ডেউচা-পাচামি কয়লাখনি ওঁরাও (ডিভিসি) নড়েচড়ে বসবেন এটা স্বাভাবিক।’’
বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের লোবা পঞ্চায়েত এলাকায় মাটির নীচে রয়েছে উন্নতমানের কয়লা। সেই কয়লা উত্তোলন করে সেখানে শিল্পের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ২০১১ সালের পর লোবা এলাকায় উন্মুক্ত কয়লাখনি করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয় বেঙ্গল এমটা কোম্পানিকে। বেঙ্গল এমটার তরফে জমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু করা হয়। কিন্তু জমি জটে আটকে যায় কাজ। ফলে থমকে যায় বেঙ্গল এমটার কার্যকলাপ। ২০১২-র ৬ নভেম্বর লোবায় বেঙ্গল এমটার ফেলে আসা মাটি কাটা যন্ত্র উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই দিন লোবায় গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তার পর থেকে থমকে গিয়েছিল লোবার কয়লাখনির কাজ। তবে বিগত বছরে গ্রামবাসীরা শিল্পের জন্য জমি দিতে ইচ্ছুক বলে জানান। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শিল্পের জন্য দরবার করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy