বাঘমুণ্ডির কালীমাটি বিট এলাকার জঙ্গলে ঢুকে পড়া পঁচিশটি হাতিকে তাড়াতে হিমসিম খাচ্ছে বন দফতর। হাতির দল দু’টির উপদ্রবে এলাকার প্রায় চার হেক্টর জমির ধান ও সব্জি তছনছ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বন দফতরের কর্মীদের দাবি, ঝাড়খণ্ড থেকে ঢুকে পড়া আটটি হাতিকে তাঁরা ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন। দলটিকে তাড়িয়ে সুবর্ণরেখা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডাংডুং ঘাট দিয়ে নদীতে নামার পরে সাঁতরে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাওয়ার বদলে ফের শালডাবড়া ঘাট দিয়ে কালীমাটি বিটে ঢুকে পড়ে হাতিগুলি। তাড়ানোর সময় গাগি ও নোয়াডি এলাকার প্রায় দুই হেক্টর জমির ধান ও ফসল হাতিগুলি তছনছ করে বলে স্থানীয়দের দাবি। ডিএফও (পুরুলিয়া) কুমার বিমল বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি হাতিগুলি যাতে লোকালয়ে ঢুকে ক্ষয়ক্ষতি না করতে পারে।’’
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১৬ তারিখ ঝাড়খণ্ড থেকে সুবর্ণরেখা পেরিয়ে বাগমুণ্ডি ও ঝালদা সীমান্ত দিয়ে ঢুকে হেঁসলা পাহাড়ে ঘাঁটি গাড়ে ন’টি হাতি। মঙ্গলবার ভোরে পাহাড় থেকে নেমে দলটি ঢুকেছিল বাঘমুণ্ডির পিড়রগড়িয়া গ্রামের অদূরে জঙ্গলে। বাঁশ ভেঙে খেতে গিয়ে বাঁশের সঙ্গে বিদ্যুতবাহী তার ঠেকে গিয়ে মৃত্যু হয় একটি হস্তিনীর। তারপর থেকে দলের আটটি হাতি কালিমাটি বিটের জঙ্গলেই ছিল। বুধবার থেকে দলটিকে তাড়ানোর কাজ শুরু করে বনদফতর।
কিন্তু বিপত্তি বাধে বুধবার রাতেই ঝালদা থেকে পনেরোটি হাতি কালিমাটি বিট এলাকায় ঢুকে পড়ায়। মাস খানেক আগে ওই হাতিগুলি ঝাড়খণ্ড থেকে এসে ঝালদার ঘসড়া ও বনডি এলাকায় ছিল। সেগুলি কালিমাটিতে ঢুকে পড়ায় নতুন করে অভিযান শুরু করতে হয় বন কর্মীদের। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এমনিতেই দফতরের কর্মী সংখ্যা কম। তার মধ্যে এক সঙ্গে দু’টি দল ঢুকে পড়ায় মুশকিল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এতগুলি হাতিকে কী ভাবে তাড়ানো যায় সেটাই বোঝা যাচ্ছে না।’’
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর উপরে আবার আরও এক জোড়া হাতিকে ওই এলাকায় দেখা যেতে শুরু করেছে। সেগুলি বাঘমুণ্ডির রেসিডেন্ট হাতি না ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বন দফতরের কাছে। তবে ওই দু’টি হাতি ইতিমধ্যেই বাঁধ়ডি এলাকার প্রায় দু’ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট করেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy