সরু পথ। সঙ্গে দিন দিন বেড়ে চলা যানবাহন। এবং একটি রেলসেতু। এই ত্র্যহস্পর্শে যানজটের নাগপাশে আটকে রয়েছে সাঁইথিয়া। রোজ পথে বেরিয়ে যানজটের কবলে পড়ে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা স্থানীয় বাসিন্দাদের। যানজট উপশমের উপায় খুঁজছে পুরসভা থেকে জেলা প্রশাসন। কিন্তু রোগ মুক্তি আর ঘটছে না। শহরবাসীর দাবি, প্রশাসনের চেষ্টা থাকলেও পরিকল্পনার অভাব এবং ভৌগলিক কারণে যানজট তো এড়ানো যায়ইনি, উল্টে বেড়ে চলেছে।
এক সময় ইউনিয়ন বোর্ডের অধীনে থাকা সাঁইথিয়ায় পুরসভা গড়ে ওঠার আগে তা নোটিফায়েড এরিয়া ছিল। পুরসভা সংলগ্ন এলাকাটি এখনও ইউনিয়ন বোর্ড মোড় হিসেবে পরিচিত। ইউনিয়ন বোর্ড থাকাকালীন স্থানীয়দের তৈরি দাতব্য চিকিৎসালয়ই ছিল এলাকার বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা। স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত হয়েছে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। কিন্তু যানজটের সমস্যা ক্রমশ জটিল আকার নিয়েছে।
প্রশাসনের দাবি, ভৌগলিক অবস্থানই সাঁইথিয়ার যানজটের অন্যতম কারণ। শহরকে নন্দিকেশ্বরী মন্দিরের কাছে কার্যত দ্বিখণ্ডিত করে দিয়েছে হাওড়া-রামপুরহাট রেলপথ। তার সঙ্গে অণ্ডাল-সাঁইথিয়া রেলপথও মিশেছে। ওই রেলপথের উপরে নির্মিত একটি সেতুই এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে প্রশাসনের একাংশের দাবি। রেললাইনের এক দিকে রয়েছে নন্দিকেশ্বরী মন্দির, থানা, হাসপাতাল, কলেজ, একাধিক স্কুল-সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। রয়েছে সাঁইথিয়ায় ব্যবসার কেন্দ্রস্থল মহাজনপট্টিও। সেখানেই যাবতীয় পাইকারি দোকান, আড়ৎ, তেলকল, হিমঘর। অন্য দিকে রয়েছে ডাকঘর, টেলিফোন দফতর, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, পুরভবন-সহ বড় বাজার। সেই সুবাদে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে ওই রেলসেতু দিয়েই পারাপার করতে হয়। জেলার অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র হওয়ায় প্রতিদিন পণ্যবাহী ভারী গাড়িও যাতায়াত করে।