জেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানেই গুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই এই দৃশ্য দেখে আসছেন মানুষ। এ বারও হল তাই। বুধবার সুনুকপাহাড়ির প্রশাসনিক সভা মঞ্চ থেকেই বাঁকুড়া জেলার ৯৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৭১টি প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন করা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন। প্রায় ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। রাইপুরে ভৈরববাঁকি নদীর উপর সেতুরও এ দিন উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় আটটি রাস্তা, তিনটি কর্মতীর্থের মতো প্রকল্পও ওই তালিকায় রয়েছে। মুকুটমণিপুর পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্যায়ন ও পরিকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প, ওন্দা ও ইন্দাসে একটি করে আইটিআই কলেজ, বাঁকুড়া পুরসভায় পানীয় জলের রিজার্ভার, জেলায় চারটি কর্মতীর্থ ও একটি শিল্পতীর্থ, জেলার বিভিন্ন ব্লকে আটটি চেকড্যাম, সিমলাপাল, রাইপুর ও রানিবাঁধ ব্লকে তিনটি হাঁস খামার প্রকল্পের মতো বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিষ্ণুপুর, মুকুটমণিপুর, শুশুনিয়া ও বিহারীনাথ পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রেও বিশেষ পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিষ্ণুপুরে টেরাকোটাকে সামনে রেখে বিশেষ অনুষ্ঠানও হবে বলে এ দিন ঘোষণা করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মাত্রাতিরিক্ত ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়ে আমরা যা কাজ করে যাচ্ছি কোনও সরকার এই কাজ করতে পারবে না।” সঙ্গে সঙ্গে হাততালি ওঠে সভার মধ্যে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন ৩৪ বছরে জল দিতে পারেনি সিপিএম? আমরা ক্ষমতায় আসার আগে মেদিনীপুরে তিন শতাংশ মানুষ নলবাহিত জল পেত। এখন ২২ শতাংশ মানুষ ওই জল পান। বাঁকুড়ায় ৬৫ শতাংশ মানুষ নলবাহিত জল পাচ্ছেন।” তিনি সংযোজন করেন, “আগে কেউ এ ভাবে জেলায় আসত না। ঘরের মধ্যে বসে থাকত। এখানকার মানুষকে কলকাতায় ছুটে যেতে হতো। আর এখন কলকাতা ছুটে আসে জেলায়।” এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল ছিল ভর্তি। তীব্র গরমেও প্রায় ২০ হাজার জনসমাগম হয়েছিল সভাস্থলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy