E-Paper

সম্পর্কের জেরেই খুন? তদন্তে ধৃত

মঙ্গলবার দুপুরে নলহাটির তৈলপাড়া ও রামেশ্বরপুর গ্রামের উদ্ধার হয় বছর সাঁইত্রিশের অপর্ণার দেহ। এ দিন রামপুরহাট স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় উজ্জ্বলকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪৬
নলহাটি থানা থেকে ধৃত উজ্জ্বল মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে।

নলহাটি থানা থেকে ধৃত উজ্জ্বল মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে। —নিজস্ব চিত্র।

সেচনালার সেতুর নীচে উদ্ধার হয়েছিল মহিলার দেহ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিহত অপর্ণা সিংহকে খুনের অভিযোগে উজ্জ্বল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে নলহাটির তৈলপাড়া ও রামেশ্বরপুর গ্রামের উদ্ধার হয় বছর সাঁইত্রিশের অপর্ণার দেহ। এ দিন রামপুরহাট স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় উজ্জ্বলকে। রামপুরহাট মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী সৈকত হাটি জানান, এ দিন আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতের ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, নিহত অপর্ণার শ্বশুরবাড়ি রামেশ্বরপুর গ্রামে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্য এই খুন হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বলে সূত্রের দাবি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ উদ্ধারের পরই মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ও ঘটনাস্থলে নমুনা সংগ্রহ করে খুনের কিনারা করে জেলা পুলিশ।

স্থানীয়দের একাংশের দাবি জানান, অপর্ণার স্বামী ভিন্‌ জেলা ও রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি এসেছেন। অপর্ণার সঙ্গে রামপুরহাট থানার পাবোরখিয়া গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল মণ্ডলের সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। পড়শিদের দাবি, এ নিয়ে পরিবারে অশান্তিও হত। অপর্ণার এক মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে বছরখানেক আগে। ছেলেও নির্মাণ শ্রমিকের কাজে ভিন্‌ জেলায় থাকেন।

ঘটনার সময় অপর্ণা ও তাঁর স্বামী রামেশ্বরপুরে ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে দাবি, অপর্ণা ৩০ তারিখ বাবার বাড়ি বড়লা গ্রামে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। স্বামী জানতেন অপর্ণা সেখানেই আছেন। পুলিশ সূত্রে দাবি, বাড়ি থেকে দু’কিলোমিটার দূরে এক মহিলার দেহ উদ্ধারের কথা জেনে অপর্ণার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তাঁর স্বামী। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় শ্বশু বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুব্রত। পুলিশ সূত্রে দাবি, তখনই তিনি জানতে পারেন অপর্ণা বড়লা যাননি।

পুলিশ সূত্রে দাবি, এরপরেই দেহ শনাক্ত করতে হাসপাতালে যান অপর্ণার পরিজনেরা। মুখ যে ভাবে বিকৃত হয়ে ছিল তাতে শনাক্ত করা কার্যত অসম্ভব মনে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত বাঁ হাতে উল্কির চিহ্ন দেখে দেহটি অপর্ণার বলে শনাক্ত করেন পরিজনেরা।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত উজ্জ্বলের স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, উজ্জ্বলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাঁর স্ত্রী বছরখানেক ধরে নলহাটি থানা এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকতেন। উজ্জ্বল একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মৃতের স্বামী বলেন, ‘‘স্ত্রীকে যে খুন করেছে তার কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

police investigation nalhati Murder Case

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy