Advertisement
E-Paper

জমা জলেই জল সংগ্রহ

প্রায় ১৫ বছর আগে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের এই পল্লিটি গড়ে ওঠে। বছর দ’শেক এখানে সপরিবার আছি। এলাকার একাংশে জল দাঁড়ানোর সমস্যাটা প্রথম থেকেই রয়েছে। প্রতি বছর বর্ষাকালে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। নিকাশি ব্যবস্থা ভাল না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই এলাকার রাস্তার উপরে, বস্তি এলাকায় এক হাঁটু জল জমে যায়। পুরসভার পানীয় জলের কলও বৃষ্টির জমা জলের নীচে চলে যায়।

বাঁকুড়া

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৫ ০১:০০

প্রায় ১৫ বছর আগে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের এই পল্লিটি গড়ে ওঠে। বছর দ’শেক এখানে সপরিবার আছি। এলাকার একাংশে জল দাঁড়ানোর সমস্যাটা প্রথম থেকেই রয়েছে। প্রতি বছর বর্ষাকালে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। নিকাশি ব্যবস্থা ভাল না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই এলাকার রাস্তার উপরে, বস্তি এলাকায় এক হাঁটু জল জমে যায়। পুরসভার পানীয় জলের কলও বৃষ্টির জমা জলের নীচে চলে যায়। ওই সময় অন্য এলাকার কল থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করতে বাধ্য হন বাসিন্দারা। এই ওয়ার্ডের হিন্দুস্কুল এলাকা থেকে একটি হাইড্রেন রয়েছে। আমাদের পাড়ায় সেই ড্রেন শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে জল আর এগোতে না পেরে জমে রয়ে যাচ্ছে আমাদের এলাকায়। এক সময় রাস্তায় খাল কেটে জমা জল পুকুরে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাতে পুকুরের জল দুষিত হচ্ছিল বলে সেই খালও বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্ষায় আমরা জলবন্দি হয়ে থাকি। সাপ, পোকামাকড় ঘরে ঢুকে পড়ে। জমা জলের দুর্গন্ধে টেঁকা দায়। পুরসভার কাছে আবেদন, যাতে দ্রুত মল্লেশ্বরপল্লির জমা জল এলাকা থেকে বের করে পাকা ড্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।

দীপক রায়, মল্লেশ্বরপল্লি

রাস্তা সারাই হোক

আমাদের প্রতাপবাগান এলাকা সাজানো গোছানো। কিন্তু, দিনের পর দিন রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় তা ভেঙেচুরে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়ছেন। বৃষ্টিতে এই সমস্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। রাস্তার গর্তে জল কাদা জমে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সাইকেল ও বাইক আরোহীরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গিয়ে চোট পাচ্ছেন। বেহাল রাস্তা দিয়ে রিকশায় যাতায়াত আরও দুর্বিষহ। পুরসভাকে এই সমস্যার কথা জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করতে যায়নি। আমাদের আবেদন, দ্রুত রাস্তা সারাই হোক।

দীপঙ্কর চৌধুরী, প্রতাপবাগান

পুরসভার কল কবে পাব

মণ্ডলপাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। প্রায় একশো পরিবারের বাস। আমাদের গ্রামের পরেই পুর-এলাকা শেষ হয়ে গিয়ে শুরু হচ্ছে সানবাঁধা পঞ্চায়েত এলাকা। একেবারে পুরসভার সীমানায় আমরা থাকি বলে বরাবরই নানা পুর-পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছি। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের এলাকায় এখনও পানীয় জলের কল করে দেয়নি পুরসভা। প্রতিবার ভোটের সময় নেতারা প্রচারে এসে জলের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও আখেরে কাজের কাজ হয় না। ভোট পেরিয়ে গেলে ওই নেতাদের কাছে তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা মনে করাতে গেলে নানা অজুহাত দেখান। আমাদের পাড়ার উপর দিয়ে বিডিআর রেললাইন গিয়েছে। রেল অনুমতি না দেওয়াতেই নাকি পাইপ লাইন বসানো যাচ্ছে না বলে পুরসভা ও নেতারা আমাদের ফিরিয়ে দেন। বাঁকুড়া পুরসভার জন্মলগ্ন থেকেই মণ্ডলপাড়ার অস্তিত্ব রয়েছে। আশির দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত এলাকায় একটি টাইম কলও ছিল। তার পর অজানা কারণে সেই কলে জলের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা আজও চালু করা হয়নি। এলাকায় একটি নলকূপ গড়ে দেওয়া হয়েছিল আশির দশকের আগে। এখনও ওই কলটিই আমাদের ভরসা। প্রায়ই তা দিনের পর দিন অকেজো হয়ে পড়ে থাকে। তখন পাড়া থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার হেঁটে লালবাজার ভাটিগড়া এলাকা থেকে জল আনতে হয়। আমাদের সমস্যা কি কোনও দিন মিটবে না?

পাপিয়া বারুই, মণ্ডলপাড়া

জমা জল

আমাদের এলাকায় অল্প বৃষ্টিতেই জল নালা উপচে রাস্তার উপর দিয়ে বইতে থাকে। এর মূল কারণ, নিয়মমাফিক নালা পরিষ্কার না হওয়া। প্রতি বছর বর্ষায় এই ঘটনার জন্য রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে অসুবিধায় পড়তে হয়। পুরকর্তাদের বিষয়টির উপর নজর দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।

পিঙ্কেশ ঠক্কর, সিনেমা রোড

Bankura Dipak Roy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy