চাষ জমিতেই তাঁদের অনেকখানি সময় কাটে। আর জমির আলে বা ঝোপে লুকিয়ে থাকে সাক্ষাৎ মৃত্যুরূপী বিষধরেরা। সম্প্রতি এলাকার দু’জনের প্রাণও গিয়েছে বিষধরদের ছোবলে। এই ঘটনাই চোখ খুলে দিয়েছে এলাকার ষোলোআনা কমিটির। ‘সাপে কাটার প্রতিকার কী’ তা নিয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করতে উঠে পড়ে লেগেছে ওন্দার রামসাগরের লাপুড় দ্বাদশ তিলি ষোলআনা সমিতি।
মঙ্গলবার রামসাগরের আঞ্চলিক ক্রীড়া উন্নয়ন সংস্থার মাঠে ষোলোআনা সমিতির উদ্যোগে হয়ে গেল সাপে কাটার প্রতিকার সংক্রান্ত একটি সচেতনতা শিবির। ওই শিবিরে জেলা ও ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক থেকে বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী মঞ্চের সদস্যেরা যেমন ছিলেন, তেমনই আবার মানুষকে সচেতন করতে অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিলেন সাপের ছোবল খেয়েও সঠিক সময়ে চিকিৎসা করিয়ে বেঁচে ফিরে আসা মানুষজনও। যাঁরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় শিবিরে আসতে পারেননি, তাঁদের জন্য স্থানীয় কেব্ল টিভিতেও অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত করার ব্যবস্থাও করেছিলেন উদ্যোক্তারা।
ষোলোআনা সমিতির সম্পাদক সুব্রত নন্দী জানান, এ বছর দুর্গাপুজোর সময় এলাকার বাসিন্দা বাবলু টুডু ও কৃষ্ণচন্দ্র মণ্ডল ধানজমিতে চাষের কাজ করতে গিয়ে সাপের ছোবল খায়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে না পারায় দু’জনেরই মৃত্যু হয়। এরপরেই ষোলোআনা ঠিক করে, আগামী দিনে সাপের কামড়ে এ ভাবে যাতে কেউ মারা না যায়, তে নিশ্চিত করতে কিছু করতে হবে। শিবির শেষে উদ্যোক্তাদের আশা, সাপ নিয়ে অনেক রকম তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যা সবার কাজে লাগবে।