এই দেওয়ালে লেখা নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে। নিজস্ব িচত্র
নেতা-কর্মীরা গিয়েছিলেন ব্রিগেডে। ফিরে এসে দেখেন, ‘দখল’ হয়ে গিয়েছে দেওয়াল। বিষ্ণুপুর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লেখা মুছে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
বিজেপির বিষ্ণুপুর জেলা সাংগঠনিক সভাপতি স্বপন ঘোষের অভিযোগ, বুধবার তাঁরা ব্রিগেডের নরেন্দ্র মোদীর সভায় গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মল্লেশ্বর এলাকায় তাঁদের প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের সমর্থনে লেখা দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের কিছু দেওয়াল লেখা মুছে বেদখল করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের ‘সি-ভিজিল’ অ্যাপে অভিযোগ জানিয়েছি।’’ যদিও তা মানতে নারাজ বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান তথা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘‘বিরোধীদের দেওয়াল লিখন মুছে ফেলার মতো মানসিকতা আমাদের নেই।’’
বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরা প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন। কখনও হেঁটে, কখনও বা সাইকেল চালিয়ে, হুড খোলা গাড়ি থেকে ঘোড়ায় পর্যন্ত চেপে প্রচার করছেন তিনি। সেখানে তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপির সৌমিত্র খাঁ কিছু মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে বাঁকুড়ায় জেলায় ঢুকতে পারছেন না। তাঁর হয়ে প্রচারে নেমেছেন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। তবে, দলের কর্মীরা বসে নেই। তাঁরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল লেখা শুরু করেছেন।
তারই মধ্যে বিজেপির দেওয়াল লেখা মুছে দেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে সরগরম বিষ্ণুপুরের রাজনীতি। বিজেপির বিষ্ণুপুর নগর কমিটির সভাপতি শঙ্খজিৎ রায়ের অভিযোগ, ‘‘বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের নজরে আসে অন্তত চারটি দেওয়াল লেখা মুছে দেওয়া হয়েছে। সবগুলিতেই দেওয়ালে ‘টিএমসি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মানুষ সব বুঝতে পারছেন। ইভিএমেই এর প্রতিবাদ জানাবেন তাঁরা।’’ যদিও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিজেপির এখানে সংগঠন নেই। তাই নিজেরাই দেওয়াল মুছে প্রচারে আসতে চাইছেন।’’
বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী অবশ্য তাঁর প্রচার আটকাতে পুলিশের এক কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ওই পুলিশ কর্তা আমার প্রচার নানা ভাবে আটকাতে চাইছেন। তাঁরা ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। মানুষ তা আটকাবেন।’’ এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) সুকোমলকান্তি দাস বলেন, ‘‘দেওয়াল মুছে ফেলা নিয়ে এ দিন দুপুর পর্যন্ত আমার কাছে কেউ অভিযোগ জানাননি। নিয়ম মেনেই পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy