পরিজনদের মাঝে সরলাদেবী। নিজস্ব চিত্র
পায়ের গয়না তোড়াই মানসিক ভারসাম্যহীন এক বধূর বাড়ির হদিস দিল ঝালদা থানার পুলিশকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ঝালদা থানার কলমা গ্রামে এক মহিলাকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে দেখা যায়। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পরেও মহিলাকে একা গ্রামে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের মধ্যে। কিন্তু তিনি নিজের পরিচয় জানাতে পারছিলেন না। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে ঝালদা থানায় নিয়ে আসে।
এক পুলিশকর্তা জানান, রবিবার রাতে তাঁকে বিশেষ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। ওই মহিলাকে তাঁর পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে শুধু ‘কুসুমটিকরা’ নাম বলছিল। এটা তাঁর নাম নাকি, তাঁর গ্রামের নাম, কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না। সোমবার সকালে দেখা যায় তাঁর পায়ে রুপোর যে ধরনের গয়না (তোড়া) রয়েছে, সেই ধরনের গয়নার চল রয়েছে ঝালদা থানা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের গ্রামগুলিতে।
ঝালদার আইসি ত্রিগুণা রায় জানান, থানার এক গ্রামীণ পুলিশ কর্মীর ঝাড়খণ্ডের দিকে যোগাযোগ রয়েছে। সেই যোগাযোগের সূত্রেই ঝাড়খণ্ডের সিলি থানা এলাকায় কুসুমটিকরা নামে একটি গ্রামের হদিস পাওয়া যায়। মহিলার ছবি সেখানে পাঠানো হলে সেই গ্রামে যোগাযোগ করে এই মহিলার পরিচয়ও মেলে। তারপরে এই মহিলাকে মহিলা পুলিশকর্মীর সঙ্গে কুসুমটিকরা গ্রামে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্রামেই সরলাদেবী নামে বছর পঞ্চাশের ওই বধূর বাপের বাড়ি। তাঁর বাড়ির লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই মহিলা খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝে মধ্যেই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় পিরে আসেন। রবিবার সে ভাবেই সকাল বেলায় বেরিয়েছিলেন। তারপরে আর ফেরেননি। বিভিন্ন জায়গায় পরিজনেরা খোঁজ করেন। কিন্তু কোথাও খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। তারই মধ্যে পুলিশের মাধ্যমে খবর আসে তিনি ঝালদা থানায় রয়েছেন। তাঁকে ফিরে পেয়ে হাঁফ ছাড়েন পরিজনেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy