Advertisement
১৫ অক্টোবর ২০২৪

সম্মেলনেই মার খেলেন বিধায়ক

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর সম্মেলনেই ব্লক সভাপতির অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হলেন বিধায়ক! পরিস্থিতি ঘোরালো খবর পেয়ে সম্মেলনের মুখ্য বক্তা, সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মাঝপথ থেকেই গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৭ ০০:৪০
Share: Save:

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর সম্মেলনেই ব্লক সভাপতির অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হলেন বিধায়ক! পরিস্থিতি ঘোরালো খবর পেয়ে সম্মেলনের মুখ্য বক্তা, সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মাঝপথ থেকেই গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যান। গোটা ঘটনায় রাজ্য নেতৃত্বের কাছে কার্যত মুখ পুড়েছে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।

বুধবার ইন্দাস ও পাত্রসায়র ব্লকের তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করা হয় ইন্দাস বয়েজ হাইস্কুলের সভাগৃহে। সকাল দশটা নাগাদ অনুগামীদের সঙ্গে স্কুলে ঢুকছিলেন ইন্দাসের তৃণমূল বিধায়ক গুরুপদ মেটে। অভিযোগ, তাঁকে দেখেই ইন্দাস ব্লক তৃণমূল সভাপতি রবিয়াল হোসেনের সঙ্গীরা বাঁশ ও কাঠের চ্যালা নিয়ে বিধায়ককে আক্রমণ করেন। গুরুপদবাবুকে পিঠে বাঁশ দিয়ে মারা হয়। তাঁর অনুগামীরাও পিটুনি খান। তার মধ্যেই কোনও ভাবে জখম বিধায়ককে কাঁধে চাপিয়ে স্কুল চত্বর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে পড়েন তাঁর অনুগামীরা।

তাঁকে সরাসরি বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বিধায়কের ডান কাঁধ ও পিঠে চোট রয়েছে।

গুরুপদবাবুর দাবি, “রবিয়ালের প্ররোচনাতেই ওর দলবল আমার উপর হামলা চালালো। ওরা আমাকে মেরেই ফেলতে চেয়েছিল! আমার অনুগামীদের জন্য রক্ষে পেলাম।’’ রবিয়াল হোসেনের অবশ্য দাবি, পরিচিত সমাজবিরোধীদের সঙ্গে করে দলীয় সম্মেলনে এসেছিলেন গুরুপদবাবু। তার জেরেই তৃণমূল কর্মীদের একাংশের রোষের মুখে পড়েছেন তিনি।

ব্লক সভাপতি বলেন, “সম্মেলনের আগেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ আছে, তাঁরা সন্মেলনে থাকতে পারবেন না। তার পরেও বিধায়ক সেই দুষ্কৃতীদের নিয়ে স্লোগান দিতে দিতেই সম্মেলনে ঢুকছিলেন।’’ এই দৃশ্য দেখেই দলের সাধারণ সমর্থকেরা রেগে দুষ্কৃতীদের তাড়া করে বলে তাঁর দাবি। তাঁর বক্তব্য, “বিধায়ককে কেউ মারধর করেনি। উনি নাটক করছেন।’’

এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে বাঁকুড়া থেকে রওনা দিয়ে দিয়েছিলেন মন্ত্রী রাজীববাবু। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিষ্ণুপুর পেরনোর পরেই তাঁর গাড়ি থামিয়ে দলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ ঘটনাটি জানান। সব শুনে আর ইন্দাসমুখো না হয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে বাঁকুড়ার জয়পুরে দলীয় সম্মেলনে চলে যান রাজীববাবু। পরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ইন্দাসের ঘটনাটি শুনেছি। দলীয় ভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। যাঁরা এই কাণ্ড বাধিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

এ দিন বিকেল পর্যন্ত অবশ্য ঘটনাটি নিয়ে গুরুপদবাবু স্থানীয় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) লাল্টু হালদার বলেন, “অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’’

অন্য বিষয়গুলি:

MLA Beaten up
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE