E-Paper

তালিকা থেকে গায়েব পাতা, নাম নেই বিএলও-র

মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এসআইআর-এ কাজ। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএলও-রা।

দয়াল সেনগুপ্ত 

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:৩০
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কাজে বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন খয়রাশোলের সুমন সরকার। কিন্তু তাঁর নিজেরই নাম নেই ২০০২-এ ভোটার তালিকায়। কারণ, তালিকার যে অংশে তাঁর নাম ছিল সে অংশটি আপলোড হয়নি। এ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন সুমন। যদিও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, হার্ডকপিতে সব ঠিক আছে। দ্রুত ত্রুটি শুধরে দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এসআইআর-এ কাজ। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএলও-রা। কিন্তু দুবরাজপুর বিধানসভার ৯৬ পার্টের বিএলও-র দায়িত্বে থাকা সুমনের কাছে থাকা ২০০২ সালের সংশ্লিষ্ট ভোটার তালিকায় ১৩৬ জন ভোটারের নাম নেই। নাম না-থাকার তালিকায় আছেন সুমন ও তাঁর পরিবারও। সুমন জানান, সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি বিডিও খয়রাশোল জানেন। তিনি ইলেকশন সেলেকে জানিয়েছেন। সুমন নিজেও মেল করে কমিশনকে জানিয়েছেন। সমস্যা না মিটলে ১৩৬ জনের ম্যাপিং করতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান সুমন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সালে খয়রাশোল ব্লক রাজনগর বিধানসভা (২৮৭) এলাকার অন্তর্গত ছিল। সে সময়ে খয়রাশোলের এই অংশটির পার্ট নম্বর ছিল ১০৩। পরে এটি দুবরাজপুর বিধানসভার (২৮৬) অংশ হয়। পার্ট নম্বর হয় ৯৬। কিন্তু ২০০২-এর ভোটার তালিকার ১০৩ নম্বর পার্টে ৭৮২ থেকে ৯১৭ নম্বর পর্যন্ত সিরিয়াল নম্বরের নাম আপলোড করেনি কমিশন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বুথের ২০০২ সালের যে তালিকা রয়েছে সেখানে ২২টি পৃষ্ঠার উল্লেখ আছে। আপলোড হয়েছে ১৮টি। ফলে, বাকি চারটি পৃষ্ঠায় নাম থাকা ভোটারদের পাওয়া যাচ্ছে না। সমস্যা এবং উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সেখানেই। এত সংখ্যক ভোটার কেন বাদ পড়লেন তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

ওই অংশের নাম থাকার কথা প্রবীণ ভোটার তথা সিপিএম নেতা সাম্যসাধক সরকারের। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, সভাপতি এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন এক সময়ে। এত ভোটারের নাম বেমালুম বাদ কেন, সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে এ নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন তিনি। এ দিন ভোটাধিকার রক্ষা শিবির পরিদর্শনে এসে এ কথা শুনে অবাক হন স্থানীয় সাংসদ শতাব্দী রায়ও। তিনি বলেন, ‘‘যাঁর কাঁধে এসআইআরের দায়িত্ব তাঁরই নামই বাদ। পুরো বিষয়টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে নিয়ে আসব।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বিষয়টি নজরে রয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ওই চারটি পেজ আপলোড হয়নি। হার্ডকপি আছে। সেখানে ২২টি পেজ-ই রয়েছে। ফলে, সমস্যা নেই। কমিশনকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

khayrasole

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy