Advertisement
১৯ মে ২০২৪

অভিভাবকদের বসিয়ে চা, জল এনসিসি-র

৫০ বেঙ্গল ব্যাটেলিয়ন এনসিসি-র উদ্যোগে বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অভিভাবকদের জন্য জল, চা ও বিস্কুটের আয়োজন করা হয়েছিল। এ ছাড়াও ছিল বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা। মাথার উপর ছাতা। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন প্রত্যেক দিন তাঁরা এ ভাবেই অভিভাবকদের পাশে থাকবেন।

পরীক্ষা দিচ্ছে ছেলেমেয়েরা। বাইরে অভিভাবকগণ। নিজস্ব চিত্র

পরীক্ষা দিচ্ছে ছেলেমেয়েরা। বাইরে অভিভাবকগণ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৪:৪৯
Share: Save:

বোলপুরে নির্বিঘ্নেই শেষ হল মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষা। পর্ষদ সূত্রে খবর— বোলপুর, ইলামবাজার ও পাড়ুই থানা এলাকায় ১৯টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি হল— বোলপুর থানার বোলপুর তারাশঙ্কর বিদ্যাপীঠ, বোলপুর শৈলবালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, বোলপুর বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ, বাঁধগোড়া কালীকৃষ্ণ বিদ্যালয়, বোলপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীনন্দা উচ্চ বিদ্যালয়, বাহিরী ব্রজসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়, বোলপুর নিচুপট্টি নিরোদবরণী উচ্চ বিদ্যালয়, বোলপুর এসএনএসএন উচ্চ বিদ্যালয়, মহিদাপুর হাই মাদ্রাসা। ইলামবাজার থানার ইলামবাজার উচ্চ বিদ্যালয়, পায়ের উচ্চ বিদ্যালয়, ইলামবাজার বি কে রায় স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়, ঘুরিষা শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, চুনপলাশী উচ্চ বিদ্যালয়, মেটেকোনা হাই মাদ্রাসা ও পাড়ুই থানার কেন্দ্রডাঙ্গাল হাই মাদ্রাসা।

পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী এ বারই প্রথম অভিভাবকদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু প্রথম দিনের পরীক্ষা বলে অভিভাবকদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হলেও অনেক স্কুলেই শ্রেণিকক্ষ পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি। কোনও স্কুলে ১১টা ১০ থেকে তাঁদের স্কুলপ্রাঙ্গন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। কোথাও সাড়ে ১১টা নাগাদ অভিভাবকদের কেন্দ্র থেকে বের করা হয়। তবে আজ থেকে পরবর্তী আর কোনো পরীক্ষাতেই অভিভাবকদের মূল গেটের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না জানা গিয়েছে।

বীরভূম জেলা পুলিশের তৎপরতায় এ বার শহরে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা ছিল জোরদার। সে রকম ভাবে যানজট চোখে পড়েনি। পরীক্ষাকেন্দ্রের পাশাপাশি বোলপুর ও সংলগ্ন এলাকার প্রত্যেকটি মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। যদিও সোমবার চিত্রার মোড়ে সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয়। অভিভাবকদের বক্তব্য, বোলপুরের কিছু রাস্তায় প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকে। সেই রাস্তাগুলিকে বিশেষত পরীক্ষার সময় কিছুটা এড়িয়েই যান তাঁরা। যাতে কোনও সমস্যা না হয়।

সংক্রামক রোগে আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের তাঁদের আলাদা ঘরে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে। রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা মিশনের রাজ্য প্রতিনিধি প্রলয় নায়েক বলেন, ‘‘প্রথম দিনের পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। বোলপুর ও সংলগ্ন থানার এলাকার পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’’

৫০ বেঙ্গল ব্যাটেলিয়ন এনসিসি-র উদ্যোগে বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অভিভাবকদের জন্য জল, চা ও বিস্কুটের আয়োজন করা হয়েছিল। এ ছাড়াও ছিল বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা। মাথার উপর ছাতা। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন প্রত্যেক দিন তাঁরা এ ভাবেই অভিভাবকদের পাশে থাকবেন। কর্নেল অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘এনসিসির বাইরেও বিভিন্ন সময় ৫০ বেঙ্গল ব্যাটেলিয়ন বোলপুরবাসীর জন্য কাজ করে থাকে। এখানে পাশাপাশি দুটো পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, গরমও পড়েছে বেশ। তাই অভিভাবকদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NCC Madhyamik exam Madhyamik বোলপুর
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE