Advertisement
E-Paper

খামতি মেটানোয় ভরসা মুক্তিধারা

স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি গোষ্ঠীর সদস্যদের দিশা দেখাতে মুক্তিধারা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হল। সোমবার বরাবাজারের এটিম গ্রাউন্ডের সভাঘরে মানবাজার মহকুমার ব্যবস্থাপনায় আলোচনা হয়েছে। যোগ দিয়েছিলেন মহকুমা এলাকার বিভিন্ন ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৭ ০৬:২০
বক্তা: এসডিও (মানবাজার)। নিজস্ব চিত্র

বক্তা: এসডিও (মানবাজার)। নিজস্ব চিত্র

স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি গোষ্ঠীর সদস্যদের দিশা দেখাতে মুক্তিধারা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হল। সোমবার বরাবাজারের এটিম গ্রাউন্ডের সভাঘরে মানবাজার মহকুমার ব্যবস্থাপনায় আলোচনা হয়েছে। যোগ দিয়েছিলেন মহকুমা এলাকার বিভিন্ন ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতিটি ব্লক থেকে ৫০ জন করে সদস্য এসেছিলেন।

প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে অনেক বেশি প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে। এতে লাক্ষা চাষ, মুরগি পালন, শুকর চাষ ইত্যাদির আধুনিক প্রশিক্ষণ এবং ঋনের ব্যবস্থা করা হয়। এসডিও (মানবাজার) সঞ্জয় পাল বলেন, ‘‘এই প্রকল্পে শুধু প্রশিক্ষণ নয়, পুরোদস্তুর স্বাবলম্বী করে তোলা পর্যন্ত সদস্যদের পাশে থাকেন আধিকারিকেরা।’’এখনও পর্যন্ত জেলায় মুক্তিধারা প্রকল্পের ৮৬৬টি দল গঠন হয়েছে ।

মুক্তিধারা প্রকল্পের জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত বুলবুল বসু বলেন, ‘‘২০১৩ সালের এপ্রিলে পুরুলিয়া জেলায় রাজ্যের মধ্যে প্রথম এই ‘পাইলট প্রোজেক্ট’ চালু হয়েছিল। প্রথমে পুরুলিয়া ১ ব্লক আর পরে বলরামপুরে প্রকল্পটি চালু হয়। মুক্তিধারা প্রকল্পের সাফল্য দেখে পরে অন্য বিভিন্ন জেলাতেও এটি চালু হয়েছে।’’ তিনি জানান, পুরুলিয়া জেলার ১৬টি ব্লকের ৬৩টি পঞ্চায়েতে এখন মুক্তিধারা প্রকল্প চালু রয়েছে ।

স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি দফতরের অধীনে আনন্দধারা-সহ অন্য প্রকল্প চালু রয়েছে। তার পরেও মুক্তিধারা প্রকল্প নিয়ে তৎপরতা কেন? প্রকল্পের রাজ্যের দুই ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শুভজিৎ মজুমদার এবং অরিন্দম দত্ত জানান, মুক্তিধারায় এপিএল এবং বিপিএল বলে আলাদা করা হয় না। যে কেউ ব্যক্তিগত বা দলগত ভাবে এই প্রকল্পের অংশীদার হয়ে রোজগার নিশ্চিত করতে পারেন। অন্য প্রকল্পে স্বনির্ভর দলে শুধু মহিলারাই সদস্য হতে পারেন। মুক্তিধারা প্রকল্পে সেটা নয়। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে এই প্রকল্পের সুবিধা পান।

বুলবুল বসু জানান, স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি দফতরের যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে মুক্তিধারা খুব কম সময়ের মধ্যে দ্রুত সাফল্য পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা সব মানুষের কাছে পৌঁছতে পারিনি। মুক্তিধারা ওই খামতি পূরণ করেছে।

এ দিন মহকুমা প্রশাসনের কর্তারা ছাড়াও পাঁচ জন বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের কর্তারা হাজির ছিলেন। পুঞ্চা ব্লকের সহ-সভাপতি কৃষ্ণপদ মাহাতো বলেন, ‘‘এই প্রকল্পের উপযোগিতা এবং লাভের দিকগুলি জানার জন্যে বাছাই করা সদস্যদের আলোচনাসভায় নিয়ে আসা হয়েছে।’’

Muktidhara scheme Self Help Group মুক্তিধারা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy