Advertisement
১০ মে ২০২৪
Coronavirus

Coronavirus: দৈনিক আক্রান্ত সাতশো পার, চিন্তা জয়দেব

জেলার অন্তর্গত বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় জয়দেব মেলার আয়োজন চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতরের।

প্রস্তুতি: জয়দেবে মেলার তোড়জোড় চলছে। বুধবার। 

প্রস্তুতি: জয়দেবে মেলার তোড়জোড় চলছে। বুধবার।  নিজস্ব চিত্র।

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫১
Share: Save:

করোনা সংক্রমণ কমার কোনও ইঙ্গিত নেই বীরভূমে। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই স্বাস্থ্য জেলা মিলিয়ে জেলায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। জেলার অন্তর্গত বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় জয়দেব মেলার আয়োজন চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতরের।

বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মধ্যেই পড়ছে জয়দেব মেলা। স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকদের মতে, যেখানে স্বাস্থ্য জেলায় তিনশোর বেশি স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত, তার মধ্যে এই মেলায় স্বাস্থ্য কর্মীদের মরণ বাঁচন লড়াই করে কাজ করতে হবে। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃণালকান্তি ঘোষ জানান, জয়দেব মেলার জন্য ব্লকে পর্যাপ্ত করোনা পরীক্ষার কিট পাঠানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে জয়দেবে এ বার মেলা হবে না বলে প্রথমে ঠিক হয়েছিল। পরে ঠিক হয় ছোট আকারে মেলা হবে। করোনার মধ্যে মেলা করাই চ্যালেঞ্জ।

বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মধ্যে বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকে আক্রান্ত সব থেকে বেশি। ওই ব্লকে নতুন করোনা করে ৭৬ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ২ হাজার ৬৫৪ জন করোনা অ্যাক্টিভ রোগী রয়েছেন। সিউড়ি সদর হাসপাতালে ১৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন।

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মধ্যে মুরারই ২ ব্লকে করোনা সংক্রমণ সব থেকে বেশি। ওই ব্লকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৫ জন নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। রামপুরহাট পুরসভা এলাকায় নতুন করে ৯৯ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকদের মতে, করোনা পরীক্ষার হার বৃদ্ধি পেতেই সংক্রমণের হার বা পজ়িটিভিটি রেট বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্য জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিতাভ সাহা জানান, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য জেলায় বর্তমানে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্ত ১ হাজার ৫২৩ জন। এদের মধ্যে ১৩ জন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের কোভিড বিভাগে চিকিৎসাধীন। ৯ জন নলহাটি ১ ব্লকের অধীন সিএডিসি ভবনের সেফ হোমে ভর্তি আছেন।

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ রায় জানান, মুরারই ১ ব্লকের রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের আম্বুয়া সরকারি মডেল স্কুলে সেফ হোম ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এলাকায় হওয়ার জন্য অনেকটা দূরে হওয়ার জন্য ব্লকের পলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মতীর্থ ভবনে ১০০ শয্যার সেফ হোম চালু করা হয়েছে। আগামী দিনে ওই সেফ হোমে আরো ৫০ টি শয্যা বাড়িয়ে ১৫০ শয্যার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE