হাতির হানায় মৃত্যু। প্রতীকী চিত্র।
হাতির পাল তাড়াতে গিয়ে হাতির হানাতেই মৃত্যু হল হুলা পার্টির এক সদস্যের। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন এক জন। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী রেঞ্জের রাঙাকুল জঙ্গলে। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার সোনামুখী রেঞ্জের পাটশোলের জঙ্গলে ৬টি, পাথরার জঙ্গলে ৭টি এবং ইন্দকাটার জঙ্গলে ১টি-সহ মোট ১৪টি হাতি রয়েছে। সোমবার সকালে হাতিগুলিকে একত্রিত করে বাঁকুড়া থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় বন দফতর। হাতিগুলিকে একত্রিত করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন হুলা পার্টি সদস্যেরা। সেই সময় রাঙাকুলের জঙ্গলের কাছে ৪টি হাতি পাল্টা তাড়া করে হুলা পার্টির সদস্যদের। এই সময় বহু চেষ্টা করেও হাতিগুলির গতিরোধ করা যায়নি। পরে ওই ৪টি হাতির হানাতেই মৃত্যু হয় গুরুদাস মুর্মু (৫৫) নামের হুলা পার্টির এক সদস্যের। আহত হন গুরুদাসের পরিবারেরই সদস্য মণীন্দ্র মুর্মু নামে এক জন। দু’জনেরই বাড়ি বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার চালথা গ্রামে।
আহত মণীন্দ্রকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত এবং আহত ব্যাক্তিকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর। নির্মল ঘোষ নামে ওই হুলা পার্টির এক সদস্য বলেন, ‘‘দিনে হুলা খুব একটা কার্যকরী হয় না। এই সময় হাতি খেদানোর কাজ করা বিপজ্জনক। আমরা বন দফতরকে বিষয়টা জানিয়েছিলাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও হাতি খেদানোর কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এই বিপত্তি ঘটেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy