E-Paper

মেডিক্যালে গণ সম্মেলন, কর্মবিরতিতে কিছুটা বিঘ্নিত স্বাস্থ্য-পরিষেবা

এ দিন সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় বহির্বিভাগে চিকিৎসা করানোর জন্য রোগীরা ভিড় করেছেন। নলহাটি থানার লোহাপুর থেকে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের বহির্বিভাগে দেখানোর জন্য এসেছিলেন বিলকিস বেগম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৪১
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় লেখা ও ছবি। মঙ্গলবার রামপুরহাট মেডিক্যালে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় লেখা ও ছবি। মঙ্গলবার রামপুরহাট মেডিক্যালে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম

ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ঘোষণা করেছে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। তার জেরে মঙ্গলবার বেশ কিছুটা ভোগান্তি হল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে আসা রোগীদের। এ দিন মেডিক্যালে গণ সম্মেলনেরও ডাক দেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।

এ দিন দুপুরে মেডিক্যালের অ্যাকাডেমিক ভবনে সেমিনার হলে আর জি কাণ্ডের বিচার চেয়ে পাঁচ দফা দাবিতে গণ সম্মেলনের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সম্মেলনের জন্য ইন্টার্নরা দুপুর পর্যন্ত কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে তাঁরা পূর্ণ কর্মবিরতিতে শামিল হন। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ও উপাধ্যক্ষ পলাশ দাস বলেন, ‘‘হাউস স্টাফ, সিনিয়র রেসিডেন্ট, পিজিটি ডাক্তাররা এমার্জেন্সি-সহ বহির্বিভাগ এবং ইন্ডোরে কাজ করেছেন। তবে জুনিয়র ডাক্তারেরা কাজে যোগ না দেওয়ায় যতটা পরিষেবা দেওয়ার কথা তা দেওয়া যায়নি।’’

এ দিন সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় বহির্বিভাগে চিকিৎসা করানোর জন্য রোগীরা ভিড় করেছেন। নলহাটি থানার লোহাপুর থেকে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের বহির্বিভাগে দেখানোর জন্য এসেছিলেন বিলকিস বেগম। তিনি বললেন, ‘‘অনেক রোগী ছিল। অনেক ক্ষণ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। তবে ডাক্তার দেখানো গিয়েছে।’’ নলহাটি থানা এলাকার তকিপুর থেকে আসা বেনজির বানু জানালেন, ‘‘একজন ডাক্তার বসছে। তাই অনেকটা দেরি হল।’’

ভোগান্তির ছবি ছিল জরুরি বিভাগেও। সেখানে ভর্তি থাকা মায়ের জন্য হাসপাতালের বাইরে বসে অপেক্ষা করছিলেন নলহাটি থানার শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুল শেখ। তিনি জানালেন, জ্বর সর্দি গা জ্বালা জ্বালা ভাব নিয়ে মাকে রবিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেছিলেন। এ দিন ডাক্তার দেখার পরে ছুটি দেওয়ার কথা ছিল। কামরুল বললেন, ‘‘এক জন ডাক্তার সকাল থেকে একবার রাউন্ডে আসার পর মায়ের কাগজপত্র দেখার পরে কখন মায়ের ছুটি হবে এ ব্যাপারে কিছু বলেননি।’’ রবি মাল নামে আর এক রোগীর আত্মীয় বললেন, ‘‘মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীকে দেখানোর পরে চিকিৎসকেরা ভর্তি করার নির্দেশ দেন। তবে ভর্তির অনেক ক্ষণ পরে ডাক্তার দেখেছেন।’’ আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে শাহবাজ় শেখ বলেন, ‘‘জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকা কর্মবিরতিতে ইন্টার্নরা কোনও কাজে যোগ দেননি। তবে হাউসস্টাফ, সিনিয়র রেসিডেন্টরা কাজ করেছেন।’’

এ দিন জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকা গণ সম্মেলনে মেডিক্যালের পড়ুয়া, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক-চিকিৎসক ও সিনিয়র ডাক্তারেরা অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। শহরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা চিকিৎসকেরাও অনেকে ছিলেন। মেডিক্যাল হাসপাতালের সুপার ও উপাধ্যক্ষ পলাশ দাস, অধ্যক্ষ করবী বড়াল, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও ছিলেন। সম্মেলনে মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের পক্ষে বিপ্লব চন্দ্র-সহ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। বক্তাদের কাছে আর জি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে জুনিয়র ডাক্তারেরা স্মারকলিপি তুলে দেন। এমএসভিপি পলাশ দাস বিভিন্ন হাসপাতালে নার্স ও চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়ে প্রস্তাব দেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rampurhat Medical college

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy