রামপুরহাটে প্রচারে রাজ বব্বর। নিজস্ব চিত্র।
প্রচারে গিয়ে নদীর উপর সেতুর দাবির মুখে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী!
বৃহস্পতিবার মহম্মদবাজারের ভুতুড়া, আঙ্গারগড়িয়া ও সাঁইথিয়ার দেড়িয়াপুর অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন সাঁইথিয়ার তৃণমূল প্রার্থী নীলাবতী সাহা। প্রার্থীকে পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার অভাব-অভিযোগের কথা জানান স্থানীয় মানুষ। তাঁদের দাবি, ময়ূরাক্ষী নদীর তিলপাড়া জলাধারের পর কিছুটা গিয়েই কানা নামে আরেকটি শাখা নদী বের হয়েছে। ১৬-১৭ কিলোমিটার যাওয়ার পর কানা সাঁইথিয়ার কুলতোড় গ্রামের কাছে ফের ময়ূরাক্ষীতে মিশেছে। এই দুই নদীর মাঝের চড়ে বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। কিন্তু নদী পারাপারের জন্য কোনও সেতু নাই। ফলে নদী পারাপারের সমস্যা বারোমাস। বর্ষায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। তাই নদীর উপর একটি সেতুর জোর দাবি জানান তাঁরা।
মহম্মদবাজারের আঙ্গারগড়িয়া অঞ্চলের নদী চড়ের বড়াম, সাওড়াবেড়া, কাটুনিয়া এইসব গ্রামে দলের যুগ্ম ব্লক সভাপতি তাপস সিংহকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারে গেছিলেন নীলাবতীদেবী। সঙ্গে আরও অনেক কর্মীরা ছিলেন। গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। হাজারো সমস্যার কথা বলেন। তাঁদের দাবি, কানা বা ময়ূরাক্ষী নদীর উপর একটি সেতুর। প্রার্থী বাসিন্দাদের দাবি শোনার পর বলেন, ‘‘আগে কে কি বলেছেন জানি না। এবং ভোটের আগে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া আমার মনে হয় নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করা। তাই কোনও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না। শুধু এটুকু বলতে পারি, জিতলে বিধানসভায় বিষয়টি উপস্থাপনা করব। আর জিতি বা হারি এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করব।’’
অন্যদিকে জোট প্রার্থী সিপিএমের ধীরেন বাগদিকে সঙ্গে নিয়ে এ দিন সাঁইথিয়ায় প্রচার করলেন, সাঁইথিয়ার প্রাক্তন পুর প্রধান কংগ্রেসের তরুণ ঘোষ ও ব্লক সভাপতি রথীন সেন সহ কংগ্রেস ও বাম নেতা কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকে দু’ ঘন্টা ধরে শহরের ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করেন ধীরেনবাবুরা। প্রচার শেষে ধীরেনবাবু বলেন, ‘‘এবারে এ দিনই প্রথম এই শহরে যৌথভাবে প্রচারে বেড়িয়েছিলাম। সকলে জোটকে স্বাগত জানিয়েছেন।’’
এ দিন রামপুরহাটে দলীয় প্রার্থী সৈয়দ সিরাজ জিম্মির সমর্থনে প্রচারে এসে রাজ্য সভার কংগ্রেস সাংসদ, অভিনেতা রাজ বব্বর কলকাতায় উড়ালপুল দুর্ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারের সমোলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিদের যাবতীয় দায় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে।’’ এ দিন রাজ বব্বরের রোড শো-র জন্য সকাল থেকে রামপুরহাটে কংগ্রেস ও বামকর্মীদের মধ্যে চরম উৎসাহ দেখা যায়। সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে রামপুরহাট গাঁধী স্টেডিয়াম মাঠে কংগ্রেস–বাম কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। রাজসাহেব দুপুর দুটো পঞ্চাশ মিনিটে পৌঁছান। দেরিতে পৌঁছালেও সহস্রাধিক বাম –কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা রাজ বব্বরের সঙ্গে গাঁধী ময়দান থেকে রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড় হয়ে ভাঁড়শালা মোড় পর্যন্ত রোড শোতে অংশগ্রহণ করেন। রাজ বব্বর বলেন, ‘‘মমতাজীর মা মাটি মানুষের সরকারে মা এখানে সুরক্ষিত নয়। মাটিতে এখানে কষ্টে ভুগছেন কৃষকরা। মানুষ এখানে নিপীড়িত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy