Advertisement
E-Paper

পরিযায়ীদের ‘কাছে’ পর্যটকদের নৌকা, ব্যবস্থার দাবি

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংস্কারের জন্য দীর্ঘ একটা সময় ধরে লালবাঁধে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা প্রায় বন্ধ ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৩৮
পাখি দেখা: বিষ্ণুপুরের লালবাঁধে সোমবার। নিজস্ব চিত্র

পাখি দেখা: বিষ্ণুপুরের লালবাঁধে সোমবার। নিজস্ব চিত্র

কয়েকমাস আগেই নতুন রূপে সেজে উঠেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের লালবাঁধ। পর্যটকদের জন্য নামানো হয়েছে একটি বোট ও যন্ত্রচালিত নৌকা। তবে তাতে বাঁধে আসা পরিযায়ী পাখিরা সমস্যায় পড়ছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ থেকে পাখিপ্রেমীদের। অভিযোগ, বোট বা যন্ত্রচালিত নৌকার শব্দ গা সওয়া হয়ে গেলেও অনেক সময়েই পর্যটকদের নিয়ে নৌকাটি পৌঁছে যাচ্ছে একেবারে পাখিদের কাছাকাছি। অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংস্কারের জন্য দীর্ঘ একটা সময় ধরে লালবাঁধে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা প্রায় বন্ধ ছিল। তবে সংস্কার-পর্ব মেটার পরে, আবার ভিড় বাড়তে শুরু করেছে পরিযায়ীদের। বাঁকুড়ার এক পাখিপ্রেমী অনির্বাণ পাত্র জানান, লালবাঁধে এই মুহূর্তে সরাল, বালিহাঁস, গ্রেটার ক্রেস্টেড গ্রিব, নানা ধরনের পোচার্ড, কাঁদখোচার মতো ৩০ ধরনের পরিযায়ী এসেছে। তবে তাঁর অভিযোগ, ‘‘বাঁধের ঘাট থেকে ১৫ ফুট দূরে নৌকা গেলে, ততটা ক্ষতি হত না। কিন্তু পর্যটকদের খুশি করতে নৌকার দায়িত্বে থাকা লোকজন পাখিদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। কেউ আবার পাখি উড়িয়ে ছবিও তুলছেন। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি।”

পাখির টানে কলকাতার যাদবপুর থেকে বিষ্ণুপুরে আসা তুফান মিত্র, বাবুলাল নাগবংশী, সমর সেনগুপ্তদেরও ক্ষোভ, “বাঁধে নৌকো বা ভুটভুটি চালাতে হলে, পাখিদের পৃথক করিডর থাকা দরকার। যেখানে পরিযায়ীরা বাসা বেঁধেছে, সে দিক দিয়ে নৌকা চালানো উচিত নয়। অথচ, কোনও নিয়ম না মেনেই দিব্যি পাখিদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে নৌকা। এটা বন্ধ না করলে, পরিযায়ী-শূন্য হয়ে যাবে বাঁধ।”

লালবাঁধে নৌকাবিহারের দায়িত্বে থাকা রিয়াজুল মল্লিকের অবশ্য দাবি, “পর্যটকেরা যেমন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, তেমন পরিযায়ীরাও আমাদের সম্পদ। ঘাট থেকে মাত্র ১৫ ফুট মাঝজলে যাওয়ার নির্দেশ আছে। কোনও ভাবে পাখিদের কাছে নৌকা যাবে না। খোঁজ নিয়ে দেখছি,

কী হয়েছে।”

বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) অনুপকুমার দত্ত বলেন, “পরিযায়ীদের বিরক্ত না করার জন্য নৌকা ও বোট চালকদের কড়া নির্দেশ দেওয়া আছে। বাঁধের দু’টি দিক পাখিদের জন্য সংরক্ষিত। এমনকি, সে দিকের আগাছাও রেখে দেওয়া হয়েছে। এর পরেও কেন নৌকাটি পাখিদের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।”

Migratory Bird Bishnupur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy