বিধি-ভেঙে: বাজারে চলছে বিকিকিনি। নিজস্ব চিত্র
কদমডাঙা প্লাস্টিক বর্জন করে দেখালেও জেলার কোনও পুরসভা বা পঞ্চায়েত এখনও প্লাস্টিক বর্জন করতে পারেনি। পুরসভাগুলি উদ্যোগ নিলেও পঞ্চায়েত তরফে কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি।
জেলার অধিকাংশ পুরসভায় এবং গ্রামঞ্চলে রমরমিয়ে চলছে প্লাস্টিকের প্যাকেট ব্যবহার। জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, ‘‘মূলত পুরসভাগুলিতে আমরা নিয়ম করে চেষ্টা করেছি যেন প্লাস্টিকের ব্যাগ বন্ধ করা হয়। মানুষ এর ক্ষতিকারক দিকটা ভেবে সচেতন হন। সতর্ক করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের এবং জরিমানা করা হয়েছিল। আবারও অভিযান চালাব।’’
তারাপীঠে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে তারাপীঠকে প্লাস্টিক ফ্রি জোন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তা স্বত্বেও মন্দির চত্ত্বরে সেবায়েতরা, পাণ্ডারা ভক্তদের প্লাস্টিক প্যাকেটে প্রসাদ মুড়ে দিচ্ছে। নজর নেই টিআরডি-এর। বর্তমান সিইও তৎকালীন মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস অভিযান চালিয়েছিলেন। সেখানেও চলছে প্লাস্টিকের যথেষ্ট ব্যবহার। তারাপীঠ মন্দীর কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছিল। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্লাস্টিক প্যাকেট উদ্ধার করে পুড়িয়ে দিয়েছিল। শুধুমাত্র তারাপীঠে উদ্যোগ নিলে হবে না তারাপীঠে যেখান থেকে এই প্যাকেটগুলো আসছে সেখানে গিয়ে বন্ধ করতে হবে প্রশাসনকে।’’
রামপুরহাটের এক ফল বিক্রেতার কাছ ফল কিনছিলেন অরুপ রায় নামের এক ব্যক্তি। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এটাতে ক্ষতি হচ্ছে জানি, তাও নিচ্ছি কারণ আমাদের অভ্যেস খারাপ হয়ে গেছে। বাজার চলছে তাই আমরাও নিচ্ছি।’’ বিক্রেতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বাকিরা দিচ্ছে তাই আমিও দিচ্ছি।’’ পুরপিতা অশ্বিনী তিওয়ারি বলেন, ‘‘অনেক বার মাইকে ঘোষণা করেছি তাতে খুব বেশি লাভ হয়নি। তাই আমরা ভেবেছি শহরের প্রতিটা বাড়িতে বাজার করার থলে দেওয়ার উদ্যোগ নেব।’’ নলহাটি থানার হরিদাসপুর পঞ্চায়েত প্রধান নসিফা বিবি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে প্লাস্টিক বর্জন নিয়ে কোনও নির্দেশ নেই জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। নির্দেশ এলে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করব।’’ খয়রাশোল পঞ্চায়েতের প্রধান উপেন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রশাসনিক কোনও নির্দেশ নেই তবে আমরা ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু তেমন কোনও লাভ হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy