Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
COVID-19

প্রতিষেধক দিতে বাঁকুড়ায় প্রস্তুতি সারা

প্রতিষেধক দেওয়ার কাজে বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলায় ৬০টি ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজে-লায় ৩৭টি ‘ভ্যাকসিন কেন্দ্র’ গড়া হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২১ ০০:৫২
Share: Save:

কলকাতায় এসে পৌঁছেছে করোনা প্রতিষেধক। আগামী শনিবার গোটা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও আনুষ্ঠানিক ভাবে তার প্রয়োগ শুরু হওয়ার কথা। তার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার বিভিন্ন ‘ভ্যাকসিন কেন্দ্র’ ঘুরলেন বাঁকুড়ার দুই স্বাস্থ্য-জেলার কর্তারা।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলায় ৩০টি ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলায় ১৪টি প্রতিষেধক রাখার ‘কোল্ড চেন পয়েন্ট’ রয়েছে। প্রতিষেধক দেওয়ার কাজে বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলায় ৬০টি ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজে-লায় ৩৭টি ‘ভ্যাকসিন কেন্দ্র’ গড়া হয়েছে। তবে শনিবারই সব ক’টি কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে না। প্রাথমিক ভাবে বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলায় দশটি ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলায় পাঁচটি কেন্দ্রে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ হবে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলায় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বাঁকুড়া পুর-প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ডেপুটি সিএমওএইচ (৩) দফতর-সহ বাঁকুড়া ১, বাঁকুড়া ২, গঙ্গাজলঘাটি, শালতোড়া, ছাতনা, সিমলাপাল ও খাতড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হবে।

আর বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলার ক্ষেত্রে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল, বিষ্ণুপুর পুর-প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, জয়পুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও রাধানগর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। এ দিন বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা ওই কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করে জানান, প্রথম পর্যায়ে বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলায় প্রায় ১৭ হাজার ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজেলায় প্রায় ছ’হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনা প্রতিষেধক পেতে চলেছেন।

বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, “আমাদের ‘কোল্ড চেন পয়েন্ট’গুলি তৈরি রয়েছে। ভ্যাকসিন এসে পৌঁছলে নির্দিষ্ট দিনেই তার প্রয়োগ শুরু হবে। আমরা সব রকম ভাবে প্রস্তুত।” বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকারও বলেন, “ভ্যাকসিন কী ভাবে দেওয়া হবে, তার মহড়া আগেই হয়েছে। এ দিন প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখা হয়েছে। কোথাও কোনও রকম খামতি না রাখাই আমাদের লক্ষ্য।”

এ দিকে, কলকাতা থেকে পুলিশ দিয়ে ‘এসকর্ট’ করে জেলায় ভ্যাকসিন নিয়ে আসার কথা। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “এসকর্ট ভ্যান আমরা তৈরি রেখেছি। স্বাস্থ্য দফতর বলা মাত্রই আমরা তা পাঠিয়ে দেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

COVID-19 Coronavirus Vaccine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE