n বিধায়কের সঙ্গে পতাকা তুলছেন অধ্যক্ষা। ভাইরাল ভিডিয়োর অংশ।
রবিবার ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। বিভিন্ন কলেজেই সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনটি পালন করেছেন কর্মীরা। তবে বিষ্ণুপুর রামানন্দ কলেজে খোদ অধ্যক্ষা পতাকা তুলছেন, আর সেই ভিডিয়ো সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। আরেকটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে অধ্যক্ষা ও তৃণমূল বিধায়ক পরস্পরকে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন।
দু’টি ভিডিয়োর কোনওটিরই সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার। তবে বিষয়টি অস্বীকার করছেন না রামানন্দ কলেজের অধ্যাক্ষা স্বপ্না ঘড়ুই। এর মধ্যে কোনও ভুলও দেখছেন না তিনি। তাঁর ব্যাখ্যা, “রবিবার কলেজের বাইরে ছেলেরা পতাকা তুলেছিল। ছেলেদের আবদারেই পতাকা তুলেছি। প্রিন্সিপাল সত্তা ছাড়াও আমার একটা ব্যক্তিসত্তা আছে। সেখান থেকেই পতাকা তুলেছি। গত বছরও তো তুলেছিলাম। এর মধ্যে কোনও ভুল আছে বলেও আমার মনে হচ্ছে না।”
বিষ্ণুপুরের শিক্ষিত মহলের একাংশে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরপেক্ষতা রক্ষা করাটা জরুরি। কলেজের অধ্যক্ষা কি দলীয় পতাকা তুলতে পারেন? এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব, “বিষয়টি আমার জানা নেই। বিস্তারিত খোঁজখবর না নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”
ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর অভিযোগ, “রামানন্দ কলেজের অধ্যক্ষা একটা নির্দিষ্ট দলের পতাকা তুলছেন। এর চেয়ে লজ্জা আর কী হতে পারে? কলেজের সর্বেসর্বা হয়ে স্রেফ প্রমোশনের জন্য উনি প্রাধান্য দিচ্ছেন একটা নির্দিষ্ট দলকে।” রামানন্দ কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি গৌরব মুখোপাধ্যায় পাল্টা বলছেন, “রবিবার কলেজের বাইরে আমাদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের উৎসব চলছিল। বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষও ছিলেন। সেই সময় অধ্যক্ষা কলেজে ঢুকছিলেন। উনি আমাদের অনুরোধ ফেলতে পারেননি। অধ্যক্ষা হিসেবে কলেজের ছাত্র সংগঠনের পতাকা উত্তোলন বিরাট কিছু অন্যায় আমরা কেউ মনে করি না। এ নিয়ে অপপ্রচার করছে বিরোধীরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy