Advertisement
E-Paper

সাফাই কারা করবে, বিতর্কে তালা স্কুলে

১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে শিক্ষাঙ্গন সাফাইয়ের কাজে পছন্দ মতো জবকার্ডধারীদের লাগানোর বিরুদ্ধে অসন্তোষ চলছেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৭ ০২:৩৯
কড়িধ্যার স্কুলে। নিজস্ব চিত্র

কড়িধ্যার স্কুলে। নিজস্ব চিত্র

১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে শিক্ষাঙ্গন সাফাইয়ের কাজে পছন্দ মতো জবকার্ডধারীদের লাগানোর বিরুদ্ধে অসন্তোষ চলছেই।

কেন তাঁদের বঞ্চিত করে অন্যদের স্কুল সাফাইয়ের কাজে লাগানো হল, তার প্রতিবাদে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের বের করে তালা ঝুলিয়ে দিলেন মহিলা স্বনির্ভর দলের বেশ কিছু সদস্যা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি ১ ব্লকের কড়িধ্যার কালীপুর নিম্নবুনিয়াদী বিদ্যালয়ে। এ দিন সকাল সাড়ে সাতটা থেকে মিনিট চল্লিশেক বিক্ষোভ দেখানোর পরে তালা খুললেও স্কুলের পঠনপাঠন আর হয়নি।

১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে জবকার্ডধারীরাই পরিচ্ছন্ন করবেন শিক্ষাঙ্গন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি। দেখাশোনো করবেন গাছপালার। রাজ্য শিক্ষা ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এমন নির্দেশিকাকে ঘিরেই অশান্তির মেঘ। এমন নির্দেশ আসার পর স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলিকে ওই এলাকার শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে দু’জন করে ও অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রগুলিতে এক জন করে জবকার্ডধারী নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারি প্রকল্পে যোগদান বাড়াতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে মহিলাদের। কিন্তু হাতেগোনা শিক্ষাঙ্গন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে কাজ পাবেন কোন শ্রেণির জবকার্ডধারী মহিলারা? অশান্তির মূলে সেটাই।

যখনই এ কাজে নির্বাচিত হচ্ছেন কোনও মহিলা, তিনি কোন মানদণ্ডে কাজ পেলেন? আমি বা আমরা কেন বঞ্চিত হলাম— এই প্রশ্ন তুলে সরব হচ্ছেন বাকিরা। বিশেষত স্কুলে রান্নার দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর দলের জবকার্ডধারী কোনও সদস্যা এ কাজে বহাল হলেই ক্ষোভ বেশি হচ্ছে। প্রশাসন যদিও বোঝাবার চেষ্টা করেছে এটা ১০০ দিনের কাজ। মাত্র দু’একজনকেই নিয়োগ করা যায়। সকলকে নয়। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘কেউ কেউ ধরে নিচ্ছেন এটা একটা পাকাপাকি ব্যবস্থা। সমস্যা পাকছে তাতেই।’’

যেমনটা হয়েছে এ দিন। শীলা অঙ্কুর, শ্যামলী অঙ্কুর, কল্যাণী দাসেদের দাবি, ‘‘ওই স্কুল যাঁরা রান্নার দায়িত্বে তাঁদের মধ্যেই দু’জনকে এ কাজে বহাল করেছে স্থানীয় পঞ্চাযেত। আমরা কেন কাজ পাব না। তাই প্রতিবাদ।’’ স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ উজ্জ্বল সাধুও বলেন, ‘‘মূল আপত্তির কারণ সাফাইয়ের কাজে নেওয়াকে ঘিরেই। যাতে প্রশাসনের টনক নড়ে তাই স্কুলে তালা লাগানো।’’

কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান প্রবীর ধর বলছেন, ‘‘একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে সমস্যা হয়েছিল। সেটা মেটানো গিয়েছে।’’

Cleaning School
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy