বাড়ি বাড়ি ঘুরে কুষ্ঠরোগী চিহ্নিতকরণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে জেলায়।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কাল সোমবার থেকে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুষ্ঠ রোগী চিহ্নিতকরণ কর্মসূচি চলবে। যদিও এই ধরনের কর্মসূচি নতুন নয়। এটা জাতীয় কর্মসূচি। তবে, এ বারের এই কর্মসূচি অন্যান্য বারের তুলনায় বেশ কিছুটা আলাদা। কারণ, এ ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হচ্ছে পালস্ পোলিও কর্মসূচিকে। জেলা লেপ্রোসি অফিসার ইন্দ্রনীল আচার্য চৌধুরী বলছেন, ‘‘গত বার প্রায় তিনশো রোগী চিহ্নিত হন। এ বার আরও বেশি সংখ্যায় কুষ্ঠরোগী চিহ্নিত সম্ভব হবে।’’
চিকিৎসকদের বক্তব্য, কুষ্ঠ একটি ক্রনিক সংক্রামক রোগ। মাইক্রো ব্যাক্টেরিয়া লেপ্রি নামক জীবাণু দ্বারা এই রোগের সংক্রমণ ঘটে। আক্রান্ত রোগীর হাঁচি, সর্দি-কাশি বা অন্যান্য শ্বাসনালী ক্ষরিত পদার্থের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়। সংক্রমণ ঘটলে প্রথমে চামড়ায় প্রভাব দেখা যায়। রোগীর শরীরে তামাটে, ফ্যাকাশে অসাড় দাগ দেখা যায়। কিন্তু চামড়ায় দাগ হলেও এই রোগের আসল ক্ষতি হয় স্নায়ুতে। তখন অঙ্গহানি বা শরীরে বিকৃতি হতে পারে। জীবাণু শরীরে প্রবেশ ও তার প্রকাশের মধ্যে কমপক্ষে চার-পাঁচ বছর সময় লাগে। কোনও ক্ষেত্রে সেই সময়কাল ১০-১৫, এমনকী ২০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু প্রথম প্রথম শুধু দাগ ছাড়া কোনও অসুবিধা না থাকায় বা সচেতনতার অভাবে রোগী চিহ্নিত করে তাঁকে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসাটাই যথেষ্ট সমস্যার। কেউ কেউ আবার জেনেও লোকলজ্জার ভয়ে এড়িয়ে যান চিকিৎসা। এই জেলায় তেমন রোগী চিহ্নিত করতেই এই কর্মসূচি।
কোথায় আলাদা?
স্বাস্থ্য দফতর বলছে, অন্য বারের কর্মসূচিতে শুধুমাত্র মাহিলারা (বিশেষত আশাকর্মী) থাকেন। তবে, এ বার সঙ্গে একজন করে পুরুষ থাকবেন। মহিলা ও শিশুদের শরীরে কোনও দাগ আছে কিনা, সেটা দেখবেন মহিলারা। অন্য দিকে, পুরুষদের জন্য পুরুষ কর্মী। এবং বিভিন্ন সূচক ধরে সমীক্ষা চালানো হবে। তবে, দু’বছরের কমবয়সী শিশুদের এই সমীক্ষার আওতা থেকে বাদ রাখা হয়েছে। জেলা লেপ্রোসি অফিসার বলছেন, ‘‘পুরুষ, মহিলা ও শিশু— যাদের শরীরে কোনও দাগ রয়েছে এবং আপাত ভাবে কুষ্ট রোগের লক্ষণ বলে চিহ্নিত, তাদের প্রত্যেককে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হবে।’’ কত জনের কুষ্ঠ রোগ হয়েছে, সেটা চিহ্নিত করবেন চিকিৎসকেরাই।
পড়ে মৃত্যু। ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ মল্লারপুর ও তারাপীঠরোড স্টেশনের মাঝে রামপুরহাটগামী বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার থেকে তিনি পড়ে যান। রেল পুলিশ জানায়, মৃত আলেসা বিবির (৪৪) বাড়ি বিহারের সাহেবগঞ্জ জেলার কোটালপুকুর থানার দড়িয়াপুরে। কলকাতা থেকে ওই ট্রেনে চড়ে স্বামী মহম্মদ নুরউদ্দিনের সঙ্গে বা়ড়ি ফিরছিলেন তিনি। নুরউদ্দিন পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রামপুরহাটে ঘুম ভাঙতে দেখেন, স্ত্রী নেই। রামপুরহাটে নেমে সাঁইথিয়া জিআরপি থানায় বিষয়টি জানান তিনি। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রেল পুলিশের কাছ থেকে ট্রেন থেকে পড়ে এক মহিলার মৃত্যুর খবর আসে। সাঁইথিয়া রেল পুলিশ দেহ উদ্ধারের পর নুরউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নুরউদ্দিন রাতেই দেহটি শানাক্ত করেন। রেল পুলিশ জানায়, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার রামপুরহাট হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।