এলাকার বাসিন্দারা সকলেই তফসিল সম্প্রদায় ভুক্ত। বেশিরভাগ বাসিন্দাই দিনমজুর। স্কুল ছুটের সংখ্যা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে এলাকার ছেলেমেয়েদের স্কুলে টানতে স্কুলের শিক্ষকরা নিজেরাই একটি প্রজেক্টর কিনে ছবি দেখিয়ে তাদের স্কুলে টানতে উদ্যোগ নিল। নলহাটি থানার বাণিওড় গ্রামের কবিরাজপাড়া গ্রামের ২ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। শিক্ষকদের দাবি, ওই প্রজেক্টরের মাধ্যমে অভিভাবকদের স্কুলে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখানো, বাল্য বিবাহ রোধ, পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতে উৎসাহ দিতে তাঁরা ছবি দেখাবেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কবিরাজ পাড়াতেই ছিল প্রজেক্টরের উদ্বোধন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা এখন ১০৭ জন। তফশিল অধ্যুষিত এলাকায় অধিকাংশ বাড়িতে নিজস্ব শৌচাগার নেই। গত বছর স্কুল নির্মল বিদ্যালয়ের পুরস্কার জেলাশাসকের কাছ থেকে পেয়েছিল। এই সপ্তাহে নির্মল বিদ্যালয় অভিযান চলছে। ছেলেমেয়েরা যাতে স্কুলের বাইরে না থাকে সেই জন্য আমরা শিক্ষকরা একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ছবি দেখিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকদেরও সচেতন করার কাজ চলবে।’’ প্রধান শিক্ষক জানান, তাঁরা তিন শিক্ষক নিজেদের উদ্যোগে যন্ত্রটি কিনেছেন।
স্কুলের সহকারী শিক্ষক প্রিয়তোষ মণ্ডল বলেন, ‘‘স্কুলের একজন শিক্ষক হিসাবে শিক্ষকতা করাটাই সব কাজ নয়। সামাজিক সচেতনতার জন্য স্কুল যেখানে, সেই পাড়াকে আগে বেছে নিয়ে পড়ুয়াদের ও অভিভাবকদের সিনেমার মাধ্যমে নানান রকম সামাজিক উন্নয়নের চিত্র দেখান হবে। আমরা চাই দূষণ মুক্ত নির্মল বিদ্যালয়ের পাশাপাশি নির্মল গ্রাম।’’
স্কুল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে এলাকায় সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিলি হয়েছে। এলাকায় কোন কোন বাড়িতে শৌচালয় নাই, তার তালিকা তৈরির জন্য পড়ুয়ারা বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। শৌচালয়বিহীন বাড়ির তালিকা তৈরি করে স্কুলের শিশু ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিরা স্থানীয় প্রধানের হাতে তুলে দেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy