মুরারইয়ে নিউ জলপাইগুড়িগামী বন্দে ভারত। ছবি: তন্ময় দত্ত
বীরভূমে এখনও অবধি হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উপর হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে ট্রেনের যাত্রাপথে অন্য জায়গায় হামলার জেরে জেলাতেও নানা ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে রেল পুলিশ এবং রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই লাইন বরাবর স্পর্শকাতর এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশনে যেহেতু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দু’মিনিটের বেশি থামে, তাই বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশনের আগে ভেদিয়া থেকে রেল পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরে ট্রেন ঢোকার আগে থেকেই স্টেশনের দু’প্রান্তে রেল পুলিশ এবং রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী দাঁড়িয়ে পড়ে। রেল পুলিশের পক্ষ থেকে ভেদিয়া, প্রান্তিক, কোপাইয়ের মতো স্টেশনে সচেতনতা প্রচারও চলছে।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার সাঁইথিয়া থেকে রাজগ্রাম পর্যন্ত কোন কোন এলাকায় ট্রেনে পাথর ছোড়ার নজির রয়েছে তা জেনে সেখানে প্রচার থেকে শুরু করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বছর তিনেক আগে তারাপীঠ রোড স্টেশন ও রামপুরহাট স্টেশনের মাঝে হাওড়াগামী জয়নগর হাওড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনায় তাপস মুখোপাধ্যায় নামে বরাকর বেগুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-সহ এক যাত্রী জখম হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় রেল পুলিশের সাঁইথিয়া থানায় তাপসের অভিযোগের ভিত্তিতে রামপুরহাট এবং তারাপীঠ স্টেশন রোড স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় অনেক দিন বিশেষ নজরদারি চলেছিল।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সুরক্ষায় সাঁইথিয়া থেকে রাজগ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে নজরদারির জন্য ইতিমধ্যে রেলপুলিশ এবং আরপিএফ যৌথ উদ্যোগে ৮টি মোবাইল ভ্যান করা হয়েছে। ওই মোবাইল ভ্যান থেকে রেল পুলিশ বন্দে ভারতের যাত্রাপথে গদাধরপুর, রামপুরহাট ও তারাপীঠ রোড স্টেশন, মুরারই থেকে রাজগ্রাম পর্যন্ত নজরদারি চালানোর কাজ শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার নলহাটি স্টেশনের আশেপাশে যে সমস্ত ঝুপড়ি ও বস্তি আছে সেই সমস্ত এলাকায় দু’জন করে রেলপুলিশ নজরদারির জন্য মোতায়েন ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy