E-Paper

চাকরি, ক্ষতিপূরণ ছাড়া জমি দানে আপত্তি

রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়া থেকে কুনুরি পর্যন্ত একটি বাইপাস রেলপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল দফতর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ০৯:৫৫
প্ল্যাকার্ড হাতে জমি মালিকেরা। সোমবার পরিহারপুরে।

প্ল্যাকার্ড হাতে জমি মালিকেরা। সোমবার পরিহারপুরে। নিজস্ব চিত্র।

রেলের জায়গা অধিগ্রহণের ব্যাপারে গ্রামবাসীদের বোঝাতে এসে ক্ষোভের মুখে পড়লেন প্রশাসনের কর্তারা। রেল লাইন পাার জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে মিলল না কোনও সমাধানসূত্র। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে সাঁইথিয়ার পরিহারপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায়।

রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়া থেকে কুনুরি পর্যন্ত একটি বাইপাস রেলপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল দফতর। সেই জন্য পরিহারপুর-সহ বেশ কিছু মৌজায় প্রায় ৫৫ একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমীক্ষা করার জন্য গত ২৫ মে জায়গা মাপজোক করে খুঁটি পোঁতার কাজ করতে গিয়ে জমির মালিক তথা এলাকার চাষিদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রেলের আধিকারিকেরা। চাকরি এবং উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণের লিখিত প্রতিশ্রুতি না-পাওয়া পর্যন্ত জমি মাপতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন জমি মালিকেরা। মাপামাপির কাজ বন্ধ করে দেন তাঁরা। সে দিন ফিরে যেতে হয় রেলের আধিকারিকদের। তাঁরা জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।

সেই প্রেক্ষিতেই এ দিন জমির মালিকদের বোঝাতে ওই এলাকায় যান মহকুমাশাসক (সিউড়ি সদর) সুপ্রতীক সিংহ, বিডিও (সাঁইথিয়া) সুজন কুমার পান্ডে, বিএলএলআরও কৌশিক চৌধুরী, সাঁইথিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রশান্ত সাধু প্রমুখ। পরিহারপুর গ্রাম সংলগ্ন একটি জায়গায় জমি মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। কিন্তু, কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। চাষিরা নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের হাতে ৭ দফা দাবিপত্র তুলে দেন। দাবিগুলির অন্যতম চাকরি এবং উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ। স্থানীয় চাষি শেখ নাসিরউদ্দিন, শেখ মাসুম আলিরা বলেন, ‘‘জমির উপরে নির্ভর করেই আমাদের সংসার চলে। তাই উপযুক্ত দাম এবং চাকরি ছাড়া জমি দেব না।’’

মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘জমি মালিকেরা পুনর্বাসনের দাবি জানান। রেলের বর্তমান নিয়মে জমির বিনিময়ে পুনর্বাসনের কোনও সংস্থান নেই। তবুও আমরা রেলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করব।’’ তিনি জানান, বৈঠকের মাঝে অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হলেও জমি ছাড়া যে উন্নয়ন সম্ভব নয়স সেই কথাটা কিছু জমি মালিককে তাঁরা বোঝাতে পেরেছেন। বাকিদের বোঝানোর জন্য ফের আলোচনায় বসা হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

sainthia

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy