Advertisement
E-Paper

রাস্তা বেহাল, দুর্ভোগ ময়ূরেশ্বরের গ্রামবাসী

দীর্ঘ দিন আগে রাস্তায় মোড়াম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তার পর আর সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর ফলে বছর খানেক আগেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তা। তাই ভরা বর্ষায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ময়ূরেশ্বরের ঢেকা পঞ্চায়েত এলাকার রামসায়রের পাড়ের বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৫ ০১:০৬

দীর্ঘ দিন আগে রাস্তায় মোড়াম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তার পর আর সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর ফলে বছর খানেক আগেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তা। তাই ভরা বর্ষায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ময়ূরেশ্বরের ঢেকা পঞ্চায়েত এলাকার রামসায়রের পাড়ের বাসিন্দারা। অথচ প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করেও কোনও লাভ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রামসায়রের পাড়ে প্রায় শতাধিক তফশিলি-আদিবাসী পরিবারের বাস। অধিকাংশই দিনমজুর। কয়েক জন মাত্র ছোট ব্যবসা করেন। জীবন-জীবিকার তাগিদে দিনে বহু বার তাঁদের গ্রাম ছেড়ে বেরতে হয়। কিন্তু, রাস্তার বেহাল দশার কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। ওই এলাকার বাসিন্দাদের বেলিয়া-বহড়া সড়ক লাগোয়া রাস্তা দিয়েই বাইরে যাতায়াত করতে হয়। বছর ন’য়েক আগে বিগত বাম আমলে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই রাস্তায় মোড়াম পড়ে। কিন্তু দীর্ঘ সংস্কারের অভাবে বছর খানেক আগেই রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ে। রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় মোড়াম উঠে গিয়ে ছোট বড় খানাখন্দে ভরে গিয়েছে।

ওই গ্রামেই রয়েছে একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র। ওই গ্রাম তো বটেই, সংলগ্ন গ্রামের ছেলেমেয়েদেরও জলকাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। একই ভাবে লোকপাড়া হাইস্কুলেও যেতে হয় পড়ুয়াদের। রামকৃষ্ণপুর শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের দুই শিক্ষিকা আলপনা বন্দ্যোপাধায় এবং পিয়ালি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাস্তার বেহাল দশার জন্য অধিকাংশ দিন ছেলেমেয়েরা জলকাদায় জামাপ্যান্ট ভিজিয়ে স্কুলে আসছে। আমাদেরও স্কুলে যেতে সমস্যা হচ্ছে।’’ লোকপাড়া হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র প্রশান্ত বাগদি, সপ্তম শ্রেণির গোপাল সিংহরা জানায়, নিজেদের সাইকেল থাকা সত্ত্বেও খারাপ রাস্তার জন্য তাদের তিন কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতে হচ্ছে।

রিকশায় গ্রামে গ্রামে পোড়া মাটির জিনিসপত্র বিক্রি করেন এককড়ি বাগদি। একই ভাবে সব্জি বিক্রি করেন স্বপন নাগ। তাঁরা বলছেন, ‘‘রাস্তার জন্য মালপত্র নিয়ে আমরা গ্রামে ঢুকতে পারি না। বাইরে রেখে দিয়ে আসি। প্রতি দিন হেঁটে সেখানে গিয়ে তবেই ব্যবসা শুরু করতে পারি। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।’’ ওই সংসদ থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঢেকা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনিরুদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘‘ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই রাস্তা ঢালাই করার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। তার আগে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কী করা যায়, দেখছি।’’

Mayureswar Road damaged Birbhum baby
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy