প্রার্থনা: দলের জেলা কার্যালয়ের পুজোয় মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
প্রশাসন জোলার শেষ যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে, পর পর, ব্লক ধরে ধরে সেই তালিকাই রাখা হয়েছে সরস্বতীর পায়ের কাছে। পড়ুয়ারা যে ভাবে নতুন কাপড়ে জড়িয়ে বই রাখে, ঠিক সেই ভাবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পুরুলিয়ায় জেলা তৃণমূল অফিসে এ ভাবেই হল সরস্বতী পুজো।
পুরুলিয়া শহরের বি টি সরকার রোডে জেলা তৃণমূল অফিসে সরস্বতী পুজো অন্য বছরও হয়। কিন্তু এ বারে তো দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত ভোট! উপোস রেখে পুজোয় বসেছিলেন দলের সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ মাহাতো। শহরের বর্ষীয়ান নেতা তারকেশ চট্টোপাধ্যায়, কাউন্সিলর বিভাস দাস, মহিলা সংগঠনের জেলা সভাপতি নিয়তি মাহাতো— ছিলেন সবাই।
পুজো সেরে উঠে দলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো বললেন, ‘‘আমরা গোটা জেলার ভোটার তালিকা দেবীর পায়ের কাছে রেখে ভোটারদের মঙ্গল কামনা করলাম।’’ পুরোহিত সুজিত দেওঘরিয়া জানিয়েছেন, পুঁথি বা খাতাপত্রকে যে ভাবে পুজো করা হয়, ভোটার তালিকারও সে ভাবেই পুজো হয়েছে।
নদী থেকে দেবী সরস্বতীর অধিষ্ঠান হয়েছে বিদ্যায়। রাজনীতি নিয়ে সরগরম হালের বাংলায় তাহলে কি নির্বাচন বৈতরণীতেও তিনিই ভরসা হয়ে উঠলেন? নবেন্দুবাবু বলছেন, ‘‘কাগজের বইখাতায় দেবী থাকেন বলে পড়ুয়ারা বিশ্বাস করে। ভোটারতালিকাও তো কাগজেরই।’’
অকাট্য। কিন্তু বই থাকতে তালিকা কেন?
দলের সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ মাহাতো বলছেন, ‘‘সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্যই তো পঞ্চায়েত, বিধানসভা, লোকসভা— সমস্ত কিছু। আর সেটার একেবারে গোড়ায় হল ভোটার লিস্ট। আমরা মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের যথাসাধ্য করি। দেবীর কাছেও এ বার তাঁদের জন্য প্রার্থনা করলাম।’’
আর প্রসাদ খেতে খেতে এক যুব নেতা বললেন, ‘‘আরে, আমরাও তো জেলাবাসীর মধ্যেই পড়ি। ভোটার তালিকাতেই আছি। দেবী সবার মঙ্গল করলে আমাদেরও মঙ্গল। এই আর কী!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy