Advertisement
E-Paper

ছাত্রীর মৃত্যুতে ধুন্ধুমার

ইটবোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে ধুন্ধুমার হল সিউড়ির কড়িধ্যা ও বড়বাগান সংলগ্ন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৫৪

ইটবোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে ধুন্ধুমার হল সিউড়ির কড়িধ্যা ও বড়বাগান সংলগ্ন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। উত্তেজিত জনতা প্রায় দু’ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ট্রাক্টরে। পুলিশের বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।

এ দিন দুপুরে ইউনিট টেস্ট দিতে সাইকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সিউড়ির রবীন্দ্রনাথ টেগোর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চন্দ্রিমা দত্ত (১৩)। তার বাড়ি কড়িধ্যার সেনপাড়ায়। সঙ্গে ছিল বান্ধবী, একই শ্রেণির পড়ুয়া সুচরিতা সিংহ। সুচরিতা কথা বলার মতো অবস্থায় ছিল না। সুচরিতার বাবা বিজয়নন্দ সিংহ বলেন, “মেয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু চন্দ্রিমা রাস্তা পার হতে চায়। ওই বারন করতে করতেই চন্দ্রিমা সাইকেল নিয়ে রাস্তার মাঝামাঝি চলে যায়। মুহূর্তে একেবারে কাছে চলে আসে ট্রাক্টর। তারপরেই সব শেষ।”

দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের কালো ব্যাগ থেকে উঁকি মারছে ক্লিপ বোর্ডে আটকানো নাম, রোল নম্বর লেখা খাতা। দুমড়ে মুচড়ে পড়ে রয়েছে সাইকেল।

জনবহুল রাস্তায় দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শুরু হয় অবরোধ। থমকে যায় যান চলাচল। রাস্তা থেকে দেহ তুলতে গেলে এলাকার লোক পুলিশ ও দমকলকে বাধা দেয়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে অল্প দূরে ট্রাক্টারটিকে ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। সিউড়ি থানার পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জোবি থমাসকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। পরে সিউড়ি থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী, র‍্যাফ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন ওই এলাকারই বাসিন্দা মুক্তিপদ দাস। তিনি জানান, গ্রাম থেকে জাতীয় সড়ক সংযোগকারী রাস্তার একটি কালর্ভাট এখনও নির্মীয়মান অবস্থায় পড়ে আছে। তাই বেশ কিছুটা ঘুরে ব্যস্ত রাস্তার উপর দিয়ে মানুষ পারাপার করছেন। বিপদ ঘটেছে সে কারণেই। বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সড়কের এই মোড়ে সব সময়ের জন্য ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা এবং গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের দাবি তোলেন। শেষমেষ পুলিশের কর্তাদের আশ্বাসে প্রায় দু’ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে হয় জাতীয় সড়কে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌ দাসগুপ্ত জানান, ছাত্রীর অপমৃত্যুর জেরে আজ, বৃহস্পতিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। বাড়ির মেয়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে কড়িধ্যার দত্ত পরিবারে। বাবা চন্দ্রশেখর দত্ত, মা মিঠুদেবী, ডোনা বাক‌্‌রুদ্ধ! এক পড়শির কথায়, ‘‘ভাবতেই পারছি না চন্দ্রিমা আর কোনও দিন ফিরবে না।’’

Schoolgirl's death unrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy