ঘেরাটোপ: মনোনয়ন-পর্বে পুলিশি নিরাপত্তা প্রশাসন ভবনে। মঙ্গলবার সিউড়িতে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসন ভবনে যাওয়ার বিভিন্ন প্রবেশপথের আশপাশে ডজনখানেক ড্রপগেট। পাহারায় তিনশোর বেশি পুলিশকর্মী। তা ছাড়া নজরদারি চলছে ভিডিও ক্যামেরা, সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়েব কাস্টিং-এ। বসেছে মেটাল ডিটেক্টর। এমনই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মঙ্গলবার বীরভূমের দু’টি লোকসভা আসনের জন্য মনোনয়ন-পর্ব শুরু হল।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এ দিন সিউড়ির প্রশাসন ভবনে মনোনয়ন দাখিল করেন এসইউসি-র দুই প্রার্থী, আয়েষা খাতুন ও বিজয় দলুই। বোলপুর কেন্দ্রের প্রার্থী বিজয়বাবু মনোনয়ন জমা দেন ওই লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রশান্ত অধিকারীর কাছে। বীরভূম কেন্দ্রের প্রার্থী আয়েষা তা দাখিল করেন জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুর কাছে।
চতুর্থ দফায় বীরভূমের দু’টি লোকসভা আসন— বীরভূম ও বোলপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা প্রার্থীদের মনোনয়ন-পর্ব যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়, কমিশনের নির্দেশে তার জন্য যথাযথ প্রস্ততি নিয়েছে জেলা নির্বাচনী দফতর। সিউড়ি জেলাশাসকের দফতর কার্যত দূর্গের চেহারা নিয়েছে। সিউড়িতে প্রশাসন ভবনের প্রবেশপথ বাদ রেখে আশপাশ বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে সাদা কাপড় টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, প্রশাসন ভবন ছুঁয়ে থাকা বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রিত ছিল এ দিন বেলা ১০টা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, জেলা প্রশাসন ভবনে প্রবেশের আগে পর্যন্ত মোট ১৩টি ড্রপগেট ছিল। ছিল মেটাল ডিটেক্টর।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিডিও ক্যামেরায় নজরদারির বাইরে ১২টি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ৬টি ওবেব কাস্টিং-এ এ সবের উপরে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের নজরদারিও ছিল। মনোনয়ন-পর্বে অবাঞ্ছিত মানুষের উপস্থিতি এড়ানো এবং নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের কোনও ঘটনা না ঘটে, সে জন্যই এমন আয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। তাঁরা আরও জানান, মনোনয়নের জন্য নির্ধারিত দিনগুলিতে এমনই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে প্রশাসন ভবনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy