হৃদি নায়ক, সৌমিতা মণ্ডল, পৃথ্বীজিৎ দে।
মাত্র ১ নম্বর। তার জন্যই মাধ্যমিকে প্রথম দশ জনের মেধা তালিকায় ঠাঁই হল না পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের পৃথ্বীজিৎ দে-র। এ বছর মাধ্যমিকে পৃথ্বীজিৎ পেয়েছে ৬৮০। অঙ্কে পেয়েছে ১০০-তে ১০০।
বরাবরের মতোই এ বছরও সামগ্রিক ফল ভাল হয়েছে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের। স্কুলের মধ্যে তো বটেই জেলাতেও পৃথ্বীজিৎ সম্ভাব্য প্রথম। কিন্তু এক নম্বরের জন্য আফশোস যাচ্ছে না মেধাবী ছেলেটির। মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বাসিন্দা পৃথ্বীজিৎ পঞ্চম শ্রেণি থেকেই পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনে পড়াশোনা করেছে।
তার বাবা রামগোপাল দে চন্দ্রকোনার ব্যবসায়ী। মা শম্পাদেবী গৃহবধূ। ব্যোমকেশের গল্পের ভক্ত পৃথ্বীজিৎ উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে চিকিৎসক হতে চায়।
জেলায় মেয়েদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম পুরুলিয়া শহরের রাষ্ট্রীয় উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সৌমিতা মণ্ডল এবং সাঁওতালডিহির এসটিপিএস গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী হৃদি নায়ক। দু’জনেই পেয়েছে ৬৭৩। বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পড়ে চিকিৎসক হতে চায় সৌমিতা। তার বাবা বিকাশচন্দ্র মণ্ডল বিএসএনএলের আধিকারিক। পুরুলিয়া শহরের শিবকলোনির বাসিন্দা সৌমিতার সমস্ত বিষয়েই গৃহশিক্ষক ছিল। তবে ভালো ফলের জন্য স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্যের কথা বলেছে সে।
হৃদির অবশ্য ইচ্ছে আইআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। বাবা সৌরভ নায়ক সাঁওতালডিহি বিদ্যুৎকেন্দ্রের আধিকারিক। মা মধুমিতাদেবী গৃহবধূ।
মেদিনীপুর শহরের আদি বাসিন্দা সৌরভবাবু চার বছর আগে কর্মসূত্রে সাঁওতালডিহিতে আসেন। অঙ্কে ১০০-এ ১০০ পাওয়া হৃদি পড়ার বইয়ের সঙ্গে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কাকাবাবু সমগ্র’-র সব ক’টি খণ্ড একেবারে গুলে খেয়েছে। গান শোনারও শখও রয়েছে তার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy