Advertisement
E-Paper

মাঠ খসড়ার ধোঁয়াশা কাটাতে সমীক্ষা লোবায়

প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত কয়লাখনি দ্রুত গড়ে তুলতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তা, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন, এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা ওই কমিটিতে রয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:১৭
— ফাইল চিত্র

— ফাইল চিত্র

লোবায় প্রস্তাবিত খোলামুখ কয়লাখনি তৈরির জন্য জমি সমীক্ষার ক্ষেত্রে ‘মাঠ খসড়া’ নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছিল। সমীক্ষা মাঠে দাঁড়িয়ে হবে নাকি শিবির করে, সেই বিভ্রান্তিতে এলাকাবাসীর কাছ থেকে সাড়া পায়নি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভিন্ন রাস্তায় হাঁটল ওই দফতর।

কোন জমির মালিক কে, তার একটি ‘স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ নিঃশব্দে তৈরি করে ফেলেছে দফতর। যাতে প্রস্তাবিত কয়লাখনি এলাকার তিন হাজার ৩ একর জমি আর ১১ হাজার ৫৭৯টি প্লটের প্রকৃত অবস্থান এখন কী রয়েছে, তা বলা হয়েছে। এত দিন পর্যন্ত যা করা হয়নি। কাজে গতি আনতে এটি সহায়ক হবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

শুক্রবার লোবা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে এমন তথ্যই সামনে এল। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি এবং ভূমি সংস্কার) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘আমরা আগের বার মাঠ খসড়ার শিবির করে সাড়া পাইনি। মাঠ খসড়া শব্দেই পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল। এ ভাবে এত দ্রুততার সঙ্গে মাঠ খসড়া করা সম্ভব নয়। মূল লক্ষ্য ছিল, যে জমি অধিগৃহীত হতে চলেছে, তার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা।’’ তিনি জানান, এ বার ওই স্ট্যাটাস রিপোর্ট এলাকায় টাঙিয়ে দেওয়া হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন’ ওই কাজ করবে। যে সমস্ত জমির মালিকের রেকর্ড ঠিক রয়েছে, তাঁদের বাদ দিয়ে বাকি যাঁরা আসবেন, তাঁদের বিষয়ে যাচাই করে প্রকৃত মালিকের নাম নথিভুক্ত করা হবে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত কয়লাখনি দ্রুত গড়ে তুলতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তা, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন, এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা ওই কমিটিতে রয়েছেন। প্রত্যেকেই একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চাইছেন, পুর্নবাসন ও ক্ষতিপূরণ পরের ধাপ। এলাকায় বর্গাদার, পাট্টাদার এবং প্রান্তিক চাষি মিলিয়ে এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁদের রেকর্ড ঠিক নেই। তাঁরা যদি ওই তালিকাভুক্ত না হতে পারেন, তা হলে কয়লাখনি গড়ে উঠলে কোনও সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। সে জন্য ১০০ শতাংশ জমির রেকর্ড ঠিক করার কাজেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর জানিয়েছে, ২০ জন আধিকারিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে গত এক মাস ধরে ওই কাজ করানো হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী সহ সব পক্ষের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জানানো হয়েছে, ১৪ নম্বর রাজ্য সড়কের ধার ঘেঁষে ২০৪ একর জমি চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। যেখানে লোবা এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। সব কাজ কোথায়, কী ভাবে চলছে, তা ১ অক্টোবর ফের পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

Loba Open Cast Mines Coal Land
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy