টাকা এসে পড়েছিল। অবশেষে রবিবার বিষ্ণুপুরে সেই সুইমিংপুল চালু হল।—নিজস্ব চিত্র।
দরজায় কড়া নাড়ছে পুরভোট। সেই সময়েই চালু হল বহু প্রতীক্ষিত বিষ্ণুপুরের সুইমিংপুলের।
অবশেষে রবিবার সন্ধ্যায় উদ্বোধন হল সেই সুইমিং পুলের। ২০০৭ সালের ১২ মার্চ ৫১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। চার বছর ধরে টাকা পড়ে থাকলেও বামফ্রন্ট পরিচালিত তত্কালীন বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েত সমিতি তা খরচ করতে পারেনি। শহরের মধ্যে জায়গার অভাবে সুইমিংপুল তৈরি করতে পারা যাচ্ছে না বলে তখন পঞ্চায়েত সমিতি জানিয়েছিল। খরচ না হওয়ায় টাকা ফেরত যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। অবশেষে বিষয়টি মহকুমা প্রশাসনের নজর আসে। চাপে পড়ে তড়িঘড়ি তখনই শুরু হয়ে যায় জায়গা খোঁজার কাজ। পুরসভার পর্যটন আবাস লাগোয়া জমিতে শুরু হয় জলাশয় খোঁড়ার কাজ।
উদ্বোধন পর্ব সেরে বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান তথা রাজ্যের বস্ত্র মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই সুইমিংপুলের খুবই প্রয়োজনীয়তা ছিল। আমি বিধায়কের এলাকা উন্নয়নের তহবিল থেকে আরও ১৯ লক্ষ টাকা এই কাজে দিয়েছি। আনুষঙ্গিক কাজের জন্য আরও ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।” তিনি জানান, শহরে সাঁতারে আগ্রহী ছেলেমেয়েরা এখন থেকেই সেখানে সাঁতার কাটতে পারবে। বহু প্রত্যাশিত সুইমিংপুল চালু হওয়ায় স্বভাবতই খুশি এলাকার ক্রীড়ামোদী মানুষজন। তাঁরা জানান, প্রায় সব বড় শহরেই সুইমিংপুল রয়েছে। এই শহরে না থাকায় এতদিন তাঁদের আক্ষেপ ছিল। এ বার তা ঘুচল।
বিষ্ণুপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি হারাধন চন্দ্র বলেন, “এই শহরে এতদিন সুইমিংপুল ছিল না। দেরিতে হলেও প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ায় আমরা খুশি।” তাঁর আশা, এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে আশাকরি ভবিষ্যতে ভাল সাঁতারু উঠে আসবে। এই সুইমিংপুল পরিচালনার দায়িত্ব কোনও একটি সংস্থাকে দেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy