Advertisement
E-Paper

মন বুঝতে গিয়ে অভাব-অভিযোগ শুনলেন নেতারা

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মানুষের কাছে পৌঁছতে নয়া কর্মসূচি ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’-এর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৫১
শিক্ষিকার ভূমিকায় সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতি সাহা। মাঠপলশার সলপা গ্রামে শুক্রবার। ছবি: পাপাই বাগদি

শিক্ষিকার ভূমিকায় সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতি সাহা। মাঠপলশার সলপা গ্রামে শুক্রবার। ছবি: পাপাই বাগদি

জেলায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচির প্রথম দিনেই তাল কাটল। বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যও। এই কর্মসূচিতে জেলার অন্য জায়গায় অবশ্য বিক্ষোভ দেখা যায়নি বলে তৃণমূলের দাবি। তবে মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতাদের সামনে পেয়ে এলাকাবাসী তাঁদের অভাব, অভিযোগের কথা জানিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মানুষের কাছে পৌঁছতে নয়া কর্মসূচি ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’-এর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় সেই কর্মসূচির প্রথম দিনে কোথাও নিকাশির অব্যবস্থা, কোথাও রাস্তা তৈরি না-হওয়া, কোথাও আবাস যোজনার তালিকায় নাম না-থাকা, কোথাও আবার বিধবা ভাতা না-পাওয়ার মতো বিষয়ে নানা অভিযোগ জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও তৃণমূলের দাবি, মানুষের মন বুঝতেই এই কর্মসূচি।

তৃণমূল সূত্রের খবর, শুক্রবার রামপুরহাট, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া, ইলামবাজার, নলহাটি— এই পাঁচ জায়গায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি হয়। রামপুরহাটে শতাব্দী, দুবরাজপুরে দেবাংশু বিক্ষোভের মুখে পড়লেও অন্যত্র সে ভাবে বিক্ষোভ দেখা যায়নি বলে দাবি তৃণমূলের। এ দিন সাঁইথিয়ার মাঠপলশা গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি শিবমন্দিরের পুজো দিয়ে এই কর্মসূচিতে যোগ দেন সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতি সাহা। সঙ্গে ছিলেন ব্লক সভাপতি সাবের আলিখান, সাঁইথিয়া শহর সভাপতি দেবাশিস সাহা-সহ অনেকেই। বিধায়ককে অবশ্য বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়নি। জনসংযোগের পাশাপাশি, একটি স্কুলেও ক্লাসও নেন বিধায়ক। জানা গিয়েছে, রাতে খেরুয়া গ্রামে এক কর্মীর বাড়িতে থাকবেন বিধায়ক।

নলহাটির কলিঠা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে এই কর্মসূচিতে যোগ দেন স্থানীয় বিধায়ক রাজেন্দ্র প্রসাদসিংহ-সহ দলের নেতা, কর্মীরা। জনসংযোগের পাশাপাশি, স্থানীয়দের অভাব অভিযোগও শোনেন বিধায়ক। রাতে ওই অঞ্চলে তাঁর থাকার কথা।

একই ভাবে ইলামবাজারে মঙ্গলডিহি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দু’টি মন্দিরে দিয়ে পুজো কর্মসূচিতে যোগ দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ। মঙ্গলডিহি এলাকার বাসিন্দাদের অভাব, অভিযোগ শোনার পাশাপাশি, এ দিন কর্মী সম্মেলন ও একটি জনসভাতেও যোগ দেন তিনি। দুপুরে এক কর্মীর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করেন। হাঁসরা গ্রামে দলের এক কর্মীর বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘‘এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা মানুষের আরও কাছে পৌঁছে যেতে পারব। প্রথম দিনের কর্মসূচিতে দলের সাংসদ, নেতাদের ঘিরে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “বিক্ষোভ দেখানো এটা ঠিক নয়। মানুষের অভাব, অভিযোগের কথা শুনতেই এই কর্মসূচি। এটা সকলকে বুঝতে হবে।”

TMC Satabdi Roy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy