Advertisement
০৪ মে ২০২৪

বিডিও-র নাম করে প্রতারণা, অভিযোগ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সেই সময়ে দুলমি গ্রামের বাসিন্দা ডকরু লোহার এবং তাঁর স্ত্রী বালা লোহারের অ্যাকাউন্টে আদিবাসী ভাতা বাবদ মোট ১৬ হাজার টাকা জমা পড়ে। বিডিও-র কাছে করা লিখিত অভিযোগে ডকরু দাবি করেছেন, টাকা আসার পরেই গ্রামের দু’জন তাঁদের ফোন করে ১২ হাজার টাকা চান।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝালদা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৭ ০৬:৩০
Share: Save:

বিডিও-র নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। ঝালদা ১ ব্লকের দুলমি গ্রামের এক আদিবাসী দম্পতি এই মর্মে সম্প্রতি বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করে তদন্ত দাবি করেছেন। অভিযুক্ত দু’জন। তাঁদের মধ্যে এক ফরওয়ার্ড ব্লক নেতাও রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সেই সময়ে দুলমি গ্রামের বাসিন্দা ডকরু লোহার এবং তাঁর স্ত্রী বালা লোহারের অ্যাকাউন্টে আদিবাসী ভাতা বাবদ মোট ১৬ হাজার টাকা জমা পড়ে। বিডিও-র কাছে করা লিখিত অভিযোগে ডকরু দাবি করেছেন, টাকা আসার পরেই গ্রামের দু’জন তাঁদের ফোন করে ১২ হাজার টাকা চান। বলা হয়, ডকরুর জন্য ৬ হাজার এবং তাঁর স্ত্রীর জন্য ৬ হাজার টাকা দিতে হবে বিডিও-কে। না হলে আদিবাসী ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। বিশ্বাস করানোর জন্য বিডিও পরিচয় দিয়ে ফোনে একজনকে ধরিয়েও দেওয়া হয়। ভয় পেয়ে ১১ অগস্ট ওই দম্পতি টাকা দিয়ে দেন।

কিন্তু পরে অন্যদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। বিজেপি-র ঝালদা মণ্ডলের সভাপতি শঙ্কর মাহাতো বলেন, ‘‘প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে ওই দম্পতি আমার কাছে এসেছিলেন। আমি বিডিও-র কাছে অভিযোগ করতে বলি। প্রশাসনের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি, যাঁরা প্রতারণা করেছেন তাঁদের শাস্তি দিতে হবে।’’ তাঁর দাবি, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জানানো হয়েছে।

বিডিও (ঝালদা ১) পূর্ণদেব মালাকার বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। আমার নাম করে দুলমি গ্রামের এক দম্পতির কাছ থেকে কে বা কারা টাকা হাতিয়েছে। গোটা বিষয়টি পুলিশকে দেখতে বলেছি।’’ তিনি জানান, ঘটনায় পুস্তি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক সরকারি কর্মী জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। বিডিও বলেন, ‘‘ঘটনার কথা জানাজানি হতেই যাঁরা টাকা নিয়েছিলেন তাঁরা ওই দম্পতিকে টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে শুনেছি। যাই হোক না কেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’’

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক নরহরি মাহাতো বলেন, ‘‘শুনেছি। বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও নেতা বা কর্মী জড়িত কি না খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’’ জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি বিডিও-কে দেখতে বলা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE