বিজেপি কর্মীদের মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে বরাবাজার থানার পুলিশ। বুধবার সকালে ওই দু’জনকে নির্দোষ দাবি করে গ্রেফতারির প্রতিবাদে পাঁচটি রাস্তা অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা। এ দিন সকাল ৮টা থেকে সিন্দরি, শাঁখারি, বেড়াদা, টকরিয়া এবং তুমড়াশোলে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে অবরোধ চলে। অবরোধের জেরে বরাবাজার থেকে জামশেদপুর, পুরুলিয়া, বলরামপুর, মানবাজার এবং বাঁকুড়ায় যাতায়াত বিপর্যস্ত হয়।
ঘটনার সূত্রপাত ১৮ মে। ওই দিন বরাবাজারে বিজেপির কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফেরার সময়ে বেড়াদা অঞ্চলের কর্মীদের গাড়ি আটকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জখম দুই বিজেপি কর্মী এখনও রাঁচি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। বিজেপি ব্লকের ১৫ জন তৃণমূল নেতা কর্মী-সহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। কিন্তু ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ২৯ মে বরাবাজারে বিজেপি বড় জমায়েত ও মিছিল করে। পরে থানা চত্বরে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই সময়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার রাতে মনোজিৎ মাহাতো এবং সৈকত দাস নামে দুই যুবককে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। তৃণমূলের বরাবাজার ব্লক কোর কমিটির সদস্য তথা বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি প্রতুল মাহাতোর দাবি, ‘‘বিনা দোষে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিজেপি নেতারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে।’’ তাঁর দাবি, তৃণমূল কর্মীরা নিজে থেকেই এ দিন রাস্তায় নেমেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘এসডিপিও (মানবাজার) ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্দোষ ব্যক্তিদের হেনস্থা করা হবে না বলে আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।’’ বিজেপি-র জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কারা মারধর করেছে কর্মীরা ভাল ভাবেই দেখেছেন।’’ এসডিপিও (মানবাজার) আফজল আবরার বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy