Advertisement
০৪ অক্টোবর ২০২৩
Wild Life

মা নেয়নি, দলও দূরে ঠেলেছে, চিড়িয়াখানার কর্মীদের মমতায় বড় হচ্ছে হরিণ শাবক

পর পর ৩ দিন হরিণ শাবককে তার মায়ের কাছে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শাবকটি যত এগিয়ে যায়, ততই পিছতে থাকে হরিণের দল।

নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২১ ২০:৪৬
Share: Save:

ফিরিয়ে দিয়েছে দল। এমনকি, মা-ও কাছে নেয়নি। চিড়িয়াখানায় কর্মীদের স্নেহেই এখন বড় হচ্ছে সদ্যোজাত হরিণ শাবক।

গত ৩০ এপ্রিল কংসাবতীর দক্ষিণ বিভাগে যমুনা রেঞ্জের কুইলাপাল বিটের কুকুরু ডাবর গ্রাম যৌথ বন পরিচালন কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ সোরেন ও সুশান্ত সোরেন একটি সদ্যোজাত হরিণশাবক গ্রাম থেকে ধরে বিট অফিসে পৌঁছে দেন। তাঁদের দাবি, জঙ্গল থেকে কুকুরের তাড়া খেয়ে লোকালয়ে চলে এসেছিল ওই শাবকটি। এর পর সকাল-সন্ধ্যা ওই শাবকের মা বিট অফিসের পাশাপাশি এসে ঘোরাফেরা করতে থাকে। প্রথমে স্পষ্ট না হলেও পরে ব্যাপারটা বুঝতে পারেন সেখানকার বন কর্মীরা। পর পর ৩ দিন ওই হরিণ শাবককে তার মায়ের কাছে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শাবকটি যত এগিয়ে যায়, ততই পিছিয়ে যেতে থাকে হরিণের দল।

শেষে ২১ দিন ব্যর্থ চেষ্টার পর সুরুলিয়া মিনি চিড়িয়াখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় ওই শাবকটিকে। সেখানেই তাকে পৃথক একটি ঘেরা জায়গায় রেখে লালনপালন করে তাকে বড় করে তুলছেন চিড়িয়াখানার কর্মীরা।

২০১৯-এর ১০ মার্চ এই চিড়িয়াখানা থেকে বান্দোয়ানের নতুন জঙ্গলে ২টি শাবক, ১৩টি মাদি ও ১৫টি পুরুষ মিলিয়ে মোট ৩০টি চিতল হরিণকে ছাড়া হয়। তার পর পরই কুকুরের হামলায় বেশ কয়েকটি হরিণের মৃত্যু হয়। জখমও হয় বহু। সে দলেরই মধ্যে থাকা কোনও মাদি এই শাবকের জন্ম দিয়েছে বলেই অনুমান বন দফতরের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE