বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রামপুরহাট থানার সুঁদিপুর থেকে পুলিশ ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম পিঙ্কু খান এবং রূপা বিবি। এ দিনই রামপুরহাট এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর এলাকার মাঠপাড়ায় সীমা দাস (৩২) নামে এক বধূকে তাঁর বাড়ি থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ প্রথম দিনই পিঙ্কু খানকে আটক করেছিল। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়েও দেয়। মৃত মহিলার স্বামী তারকনাথ দাস এক জন সিআরপিএফ কর্মী। কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকেন। খবর পেয়ে বুধবার এসে তিনি রামপুরহাট থানায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই এ দিন পুলিশ দম্পতিকে গ্রেফতার করে। সীমাদেবী মাঠপাড়ার বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁর ছেলে শ্রীরামপুরে একটি আবাসিক স্কুলে পড়াশোনা করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, পিঙ্কুর সঙ্গে সীমাদেবীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে সীমাদেবীর বাড়িতে পিঙ্কুর যাতায়াত ছিল। পুলিশ সীমাদেবীর মোবাইলে পিঙ্কুর বেশ কিছু ছবিও পেয়েছে বলে জানিয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সীমাদেবী পিঙ্কুকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু পিঙ্কু তাতে রাজি হননি। এরই মাঝে একবার সীমাদেবী নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে পিঙ্কু দাবি করেছে, ঘটনার আগের দিন (সোমবার) অভিমানে সীমাদেবী সারা দিন না খেয়ে ছিলেন। সে খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে পিঙ্কু এবং তাঁর স্ত্রী সীমাদেবীর বাড়িতে খাবার নিয়ে যান। পুলিশ জানায়, দম্পতির সামনেই সীমাদেবী আত্মহত্যার হুমকি দেন। তখন দম্পতি সীমাদেবীর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে দেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সীমাদেবীর পরিচারিকার ফোন পেয়ে পিঙ্কু আবার ফিরে আসে। তার আগেই সীমাদেবী নিজে গায়ে কেরোসিন ঢেলে অগ্নিদগ্ধ হন বলে পিঙ্কুর দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy