Advertisement
E-Paper

কন্ট্রোলারের বৈধতা নিয়ে বিতর্ক

নিয়োগ-সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগের উত্তর দিতে শেষমেশ সাংবাদিক বৈঠক ডাকল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর তরফে অনিয়মের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানানো হয়, পরীক্ষা নিয়ামকের পদে সন্দীপ বসু সর্বাধিকারীর নিয়োগ সম্পূর্ণ বৈধ। তাই তাঁর সই-করা মার্কশিট অবৈধ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৪ ০২:১৪

নিয়োগ-সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগের উত্তর দিতে শেষমেশ সাংবাদিক বৈঠক ডাকল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর তরফে অনিয়মের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানানো হয়, পরীক্ষা নিয়ামকের পদে সন্দীপ বসু সর্বাধিকারীর নিয়োগ সম্পূর্ণ বৈধ। তাই তাঁর সই-করা মার্কশিট অবৈধ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

সম্প্রতি ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সন্দীপবাবুকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পরীক্ষা নিয়ামক করেছিল। অভিযোগ উঠেছে, সেই নিয়োগটি বৈধ নয়। কারণ, বিশ্বভারতীতে এমন কোনও পদের অস্তিত্বই নেই। এমন একটি পদ তৈরি, বা তাতে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে সব প্রক্রিয়া মেনে চলে হয়, তার কোনওটিই মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই ওই পদে সন্দীপবাবুর নিয়োগের পর থেকে তাঁর সই করা ছাত্রছাত্রীদের শংসাপত্রের বৈধতা নিয়েও বিশ্বভারতীর নানা মহল প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

বিশ্বভারতীর একটি মহলের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা করে পরীক্ষা নিয়ামক বলে কোনও পদ কোনও দিনই ছিল না। অতীতে ‘ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এগজামিনেশন)’-ই এ ক্ষেত্রে যাবতীয় দায়িত্ব সামলাতেন। পড়ুয়াদের শংসাপত্রে তাঁর-ই সই থাকত। শেষবার ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৩-র মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ অবধি দেবাশিস দত্ত ওই পদে ছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, শ্রীনিকেতনে তাঁকে বদলি করে বিশ্বভারতীর উপাচার্য মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক বা ইউজিসি-র অনুমোদন না নিয়ে, নিজেই নতুন ওই পদ (কন্ট্রোলার অফ এগজামিনেশন) সৃষ্টি করে সন্দীপবাবুকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্বভারতীর মিডিয়া ইন্টারফেস কমিটির চেয়ারপার্সন সবুজকলি সেন দাবি করেন, বিশ্বভারতীতে পরীক্ষা নিয়ামকের পদ কোনও নতুন ব্যাপার নয়। এবং ওই পদে সন্দীপবাবুর নিয়োগও সম্পূর্ণ বৈধ। সবুজকলিদেবী বলেন, “সত্তরের দশকে অধ্যাপক কে এল বসু বিশ্বভারতীর পরীক্ষা নিয়ামক ছিলেন। নব্বইয়ের দশকে ১৯৯৫-’৯৭ পর্যন্ত অধ্যাপক প্রণবানন্দ যশও ওই পদের দায়িত্ব সামলেছেন। পদটি বহু দিন ফাঁকাই ছিল। সমস্ত নিয়ম মেনে বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বসু সর্বাধিকারীকে পরীক্ষা নিয়ামকের দায়িত্ব দিয়েছেন।” ভিত্তিহীন অভিযোগ।” সন্দীপবাবু এ নিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি। উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত দাবি করেন, বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে বারবার ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হচ্ছে।

controller legality of controller biswabharati santiniketan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy