Advertisement
১৯ মে ২০২৪

জেলায় নেমে তারাপীঠে ছুটলেন জয়ও

ঘড়িতে তখন দুপুর ১২টা। আকাশে হালকা হালকা মেঘ থাকায় রৌদ্রের তাপ তেমন ভাবে গায়ে লাগছিল না। তারাপীঠ পালপাড়া মোড়ে গাঁদা ফুলের মালা দিয়ে সাজানো হুড খোলা জিপে চাপলেন নায়ক জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তারাপীঠে পুজো দিয়ে প্রথম প্রচার শুরু করলেন নায়ক। এর আগে তারাপীঠে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পাথরচাপুড়িতে দাতাবাবার মাজারে চাদর চড়াতে যাচ্ছেন বীরভূম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে সকালেই পুজো দিয়েছেন তারাপীঠে।  ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পাথরচাপুড়িতে দাতাবাবার মাজারে চাদর চড়াতে যাচ্ছেন বীরভূম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে সকালেই পুজো দিয়েছেন তারাপীঠে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৪ ০১:৫১
Share: Save:

ঘড়িতে তখন দুপুর ১২টা।

আকাশে হালকা হালকা মেঘ থাকায় রৌদ্রের তাপ তেমন ভাবে গায়ে লাগছিল না। তারাপীঠ পালপাড়া মোড়ে গাঁদা ফুলের মালা দিয়ে সাজানো হুড খোলা জিপে চাপলেন নায়ক জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তারাপীঠে পুজো দিয়ে প্রথম প্রচার শুরু করলেন নায়ক। এর আগে তারাপীঠে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়।

দল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেই রামপুরহাটের একটি লজে উঠেছেন নায়ক। প্রচারের জন্য আপাতত দু’মাস রামপুরহাটে তিনি থাকবেন। বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাট থেকে একটি গাড়ি নিয়ে তারাপীঠে পুজো দিতে যান। গাড়ির আগে আগে ছিল শতাধিক বিজেপি কর্মীর মোটরবাইক। কর্মীরা নরেন্দ্র মোদী এবং জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান দিতে দিতে তারাপীঠ পৌঁছন। পৌনে ১২টা নাগাদ যখন মা তারার কাছে ১০০১ টাকার পুজো দিয়ে বেরিয়ে আসেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন মন্দির চত্বরে দলীয় কর্মীদের মুখে হর হর মোদী ধ্বনি। কর্মীদের ভিড় সামাল দিতে ১৫ মিনিট পরে মন্দির চত্বর থেকে প্রার্থী বেরিয়ে পড়েন। হীরক জয়ন্তী, মিলন তিথি সিনেমার নায়ককে দেখতে পালপাড়ার মোড়ে ভিড় করেছিলেন মহিলারা। নায়ককে এক ঝলক দেখার জন্য তারাপীঠের বাসিন্দা প্রৌঢ়া হীরা চট্টোপাধ্যায় নাতিকে কোলে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন, তেমনি দুপুরের রান্না বন্ধ করে দৌড়ে ছিলেন বাইশ বছরের বধূ কণিকা লেট, তিরিশ বছরের বধূ মৌসুমি দত্ত’রা। তারাপীঠের বাজারে সব্জি বিক্রি করে ফেরার পথে মহিলাদের ভিড়ে ঢুকে পড়েছিলেন তিন মহিলা। চোখের সামনে নায়ককে দেখে হাত নাড়তে নাড়তে হাসিমুখে যে যার বাড়ি ফিরে যান।

মোটরবাইক র‌্যালি। —নিজস্ব চিত্র।

এর পরে প্রার্থী হুড খোলা জিপে করে তারাপীঠ-রামপুরহাট রোড ধরে কর্মিসভায় যোগ দিতে রামপুরহাটে চলে যান। পথে মানুষজনের দেখা পেয়েছেন, তখনই জয় বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও হাত নেড়ে নমস্কার করেন, কখনও পথ চলতি মানুষ, যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি চালক কিংবা যাত্রীদের সঙ্গে হাত মেলাল তিনি। তার পরে তিনি যান পাথরচাপুড়িতে। সেখানে দাতাবাবার মাজারে চাদর চড়ান। বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বক্রেশ্বরে যান। এ প্রথম এ ভাবে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কেমন লাগছে? উত্তরে প্রার্থী বলেন, “খুব ভাল লাগছে। উপভোগ করেছি।” নাম না করে সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমার বাড়িতে সকলেই তৃণমূল করেন। মা মহিলা তৃণমূলের নেত্রী। আমিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুব শ্রদ্ধা করি। ৩০ জানুয়ারির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেডের সভায় গিয়েছিলাম। ব্যক্তিগত ভাবে আমি অটলজি’র খুব ভক্ত এবং মোদীজির ভারত নির্মাণের দর্শনে বিশ্বাসী। গ্রাম বাংলার মানুষের জন্য যদি কিছু করতে পারি, তার জন্য আমি রাজনীতিতে এসেছি।” আবার নেতাদের মতো অন্য প্রার্থীকে আক্রমণও করেন তিনি। শতাব্দী রায়ের নাম না করে বলেন, “সাংসদ হিসেবে কয়েকটা অ্যাম্বুল্যান্স, কিছু রাস্তা ঘাট সারানোর টাকা দিলেই হল না। এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রশ্ন তুলে এবং টেবিল ঠুকে কিছু নিয়ে আসাটাই সাংসদের কাজ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rampurhat apurba chattyopadhyay loksabha election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE