পথ দুর্ঘটনায় জখম এক যুবককে কেন পাওয়া যাচ্ছে না, এই অভিযোগে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন ওই যুবকের আত্মীয় ও এলাকার মানুষ। দুবরাজপুর থানার সমানে ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বেলার দিকে। ঘণ্টা খানেক অবরোধ থাকার পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্পল বাগদি বলে এক যুবক পলাশডাঙা গ্রাম থেকে সাইকেলে শ্বশুরবাড়ি দুবরাজপুরে আসছিলেন ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। সেই সময় পাহাড়েশ্বরের কাছে একটি বাইক তাঁকে ধাক্কা মারলে পথেই জ্ঞান হারান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ আহত ওই যুবককে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করায়। তাঁর সাইকেলটি থানায় রেখে দেয়।
ঘটনা হল, ভর্তি করার সময় আহত যুবকের কোনও পরিচয় না জানায়, পুলিশ তাঁকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসাবেই দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিল। কিন্তু দুবরাজপুর হাসপাতাল কিছুক্ষণ পরই সিউড়ি হাসপাতালে রেফার করে দেয় ওই যুবককে। সিউড়িতে ভর্তির সময়ও যুবকের পরিচয় লেখা হয়নি। এ দিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ছেলে কেন ফিরছে না, উত্পলের মা বর্ণা বাগদি খোঁজ নিতে দুবরাজপুর এলে, বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি দুবরাজপুর থানায় ছেলের সাইকেল দেখে চিনতে পারেন।
উত্পলবাবুর মা বণার্দেবীর দাবি, “সিউড়ি হাসপাতালে গিয়েও ওর খোঁজ পাইনি। সিউড়ি হাসপাতাল জানিয়েছে, ৩০ তারিখ সকালেই নাকি ও হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায়। কোথায় যে গেল ছেলেটা, বুঝতে পারছি না!”
প্রশ্ন উঠছে, জ্ঞান ফেরার পরও হাসপাতালের খাতায় অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবকের নাম লেখা হল না কেন? সিউড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য অজ্ঞাতপরিচয় এক রোগী নিঁখোজ বলে সিউড়ি থানায় একটি ডায়েরি করেছে। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি উত্পলের। সিউড়ি হাসপাতালের সুপার শোভন দে বলেন, “বিষয়টি আমি জানি না। তবে, এমন যদি ঘটে থাকে, তাহলে প্রশাসনকে আমি সমস্তরকম তথ্য দিয়ে করতে পারব।”
পুলিশ কেন খোঁজ রাখেনি এই অভিযোগে, এ দিন দুবরাজপুর থানা লাগোয়া রানিগঞ্জ মোরগ্রাম ৬০ জাতীয় সড়ক ঘন্টাখানেক অবরোধ করেন উত্পলবাবুর পরিবার ও এলাকার মানুষ। শেষ পর্যন্ত দুবরাজপুর থানার পুলিশ সিউড়িতে গিয়ে নিঁখোজের বিররণ জানিয়ে একটি অভিযোগ করার পরামর্শ দিলে অবরোধ উঠে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy