Advertisement
০২ মে ২০২৪

জনশুনানিতে কাজের দাবি

এলাকায় অনেক কলকারখানা হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সাকুল্যে তার কয়েকটি মাত্র হয়েছে। তাই ইমামির সিমেন্ট কারখানা নিয়ে পরিবেশ সংক্রান্ত জনশুনানিতে গিয়ে প্রশাসনের আধিকারিকরা বাসিন্দাদের কাছে এই কারখানায় কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা কতটা সে প্রশ্নই শুনলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৫
Share: Save:

এলাকায় অনেক কলকারখানা হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সাকুল্যে তার কয়েকটি মাত্র হয়েছে। তাই ইমামির সিমেন্ট কারখানা নিয়ে পরিবেশ সংক্রান্ত জনশুনানিতে গিয়ে প্রশাসনের আধিকারিকরা বাসিন্দাদের কাছে এই কারখানায় কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা কতটা সে প্রশ্নই শুনলেন।

বৃহস্পতিবার রঘুনাথপুর ১ ব্লকের নতুনডি পঞ্চায়েতে ইমামি সিমেন্ট কারখানা গড়া নিয়ে পরিবেশ সংক্রান্ত শুনানি হয়। সেখানে এই কারখানার জন্য দূষণ রোধে কী কী ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে, সে প্রশ্ন যেমন উঠেছে, তার থেকে বেশি শোনা গিয়েছে চাকরি কতজন পাবেন? ঘটনা হল পরিবেশ শুনানিতে আগেও কর্মসংস্থানের দাবি শুনতে হয়েছি রিলায়েন্স সিমেন্ট এর আধিকারিকদের। মোটের উপর নির্বিঘ্নেই শুনানি-পর্ব শেষ হয়েছে। এ দিন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পদস্থ আধিকারিকরা ও পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) প্রবালকান্তি মাইতি-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। পরে অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, “শুনানির রিপোর্ট রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ মারফত্‌ কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমতি পাওয়ার পরেই কারখানা গড়ার কাজ শুরু করা হবে বলে শুনানিতে জানিয়েছে ওই শিল্প সংস্থা।”

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইমামি সিমেন্টের প্রস্তাবিত কারখানার জন্য রঘুনাথপুর ১ ব্লকের নতুনডি পঞ্চায়েতের দুরমুট মৌজায় জোরাডি গ্রামের পাশে রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগম ইতিমধ্যেই ৬৫ একর জমি চিহ্নিত করে দিয়েছে। ওই জমির মধ্যে প্রায় ৫৯ একর জমির মালিকানা হস্তান্তর করা হয়েছে ইমামি সিমেন্ট লিমিটেডকে। বাকি সাত একর জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়াও প্রকল্পের জন্য আরও ৩০ একর জমি চেয়ে নিগমের কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা।

সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রঘুনাথপুরে বছরে ১.৫ মেট্রিক টন উত্‌পাদন ক্ষমতাসম্পন্ন সিমেন্ট কারখানাটি গড়তে মোট ৯৫ একর জমি তাদের প্রয়োজন। যার মধ্যে ৬৫ একর জমিতে তৈরি হবে মূল প্রকল্প। বাকি ৩০ একরে রেলের সাইডিং গড়া হবে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১৮ কোটি টাকা। সংস্থার দাবি, জানুয়ারি মাস থেকে কারখানা নির্মাণের কাজ শুরু করে এক বছরের মধ্যে উত্‌পাদন শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা তারা নিয়েছে। এ দিন শুনানিতে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পে প্রয়োজনীয় জলের সংস্থানে গভীর নলকূপ খোঁড়া হবে এবং বৃষ্টির জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়াও প্রকল্পের মধ্যে ৮.৩ হেক্টর জমিতে গাছ লাগানো হবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দিষ্ট বিধি মেনেই এই সিমেন্ট কারখানা গড়া এবং কারখানায় উত্‌পাদনের পরে লাভের নির্দিষ্ট অংশ এলাকায় সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে খরচ করা হবে বলে শুনানিতে জানিয়েছে সংস্থাটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mass hearing raghunathpur demand job
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE