জল নেই। বালতি-কলসি রেখে প্রতীকী প্রতিবাদ। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত
১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁকরখাদ এলাকায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ গভীর নলকূপ খারাপ হয়ে রয়েছে। তার উপর দিক কয়েক জল সরবরাহ বন্ধ রেখেছে পুরসভা। স্বাভাবিক ভাবেই পানীয় জলের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে এলাকায়। অভিযোগ, জলসঙ্কটের কথা জেনেও পুরসভা বিষয়টিতে গুরত্ব দেয়নি। তাই বন্ধ নলকূপের সামনে হাঁড়ি-কলসি নামিয়ে রেখে প্রতীকী প্রতিবাদ করলেন বাসিন্দারা। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ফাঁকা জলের পাত্র নলকূপের পাশে নামিয়ে রেখে চলল প্রতিবাদ। বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তা, নিকাশি নালার মতো সমস্যা আছেই। এর পর পনীয় জলের সঙ্কট তৈরি হলে প্রতিবাদ না করে উপায় নেই। এর পরেও যদি পুরসভা সমস্যা না মেটায় তা হলে জেলাশাসকে জানাবেন। প্রয়োজনে পথও অবরোধ করার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুদ্দিন শেখ, মঈনুদ্দিন শেখ, সিজু খান, নাসেরা বিবি, রোজেদা বিবি, জেরিনা বিবিরা বলছেন, “পানীয় জল সরবরাহের জন্য পুরসভার নলকূপগুলি রয়েছে, গত ৬ দিন ধরে একটিতেও জল পড়েনি। এই পাড়ায় ১০০টিরও বেশি পরিবার পানীয় ও রান্নার জলের জন্য চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন।” বাসিন্দাদের আরও দাবি, এলাকায় মসজিদের কাছে একটি গভীর নলকূপ ১০ দিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। সারানোর নামে পুরসভার লোকেরা নলকূপের উপরের অংশ দিন কয়েক আগে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সেটি সারিয়ে এখনও ব্যবহার্য হয়নি। সিউড়ির পুরপ্রধানের ওয়ার্ডে বসবাস করে এমন সমস্যা হবে কেন, প্রশ্ন বাসিন্দাদের। সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় অবশ্য অভিযোগ মানেননি। তিনি বলেন, “এমনিতে ওই এলাকায় অনেকগুলি গভীর নলকূপ রয়েছে। তবে জলপ্রকল্পের সুবিধা যাতে ওয়ার্ডের মানুষ পান সে জন্য মাস কয়েক আগে পাইপলাইন পৌঁছেছে। বেশ কয়েকটি স্ট্রিট কানেকশন (স্ট্যান্ড কল) দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, “কিন্তু যান্ত্রিক সমস্যার কারণে তিনদিন তিলপাড়া থেকে জল ওঠানো যাচ্ছিল না। ফলে শুধু ওই ওয়ার্ড নয় সব ওয়ার্ডের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যান্ত্রিক ত্রুটি দূর করে বুধবার থেকেই তা স্বাভাবিক হয়েছে। জল সরবরাহের ওভারহেড ট্যাঙ্কগুলি ভর্তি হতে সময় লাগে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য যে ট্যাঙ্ক সেটি একটু পরে ভরেছে। সেটা নিয়েই ভুলবোঝাবুঝি। আর মসজিদের পাশের নলকূপটি শীঘ্রই সারানো হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy